রোড মার্চেও জনগণ সংকট, বিএনপি প্রচন্ডভাবে হতাশ—তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি অনেক হাঁকডাক করে একটা রোড মার্চ করেছে। তাদের রোড মার্চে দেশের জনগণ আশানুরূপ সাড়া দেয়নি। এই রোড মার্চ কুমিল্লা চট্টগ্রাম রোডে জানজট তৈরি আর জনগণের ভোগান্তি তৈরি ছাড়া কিছুই করতে পারেনি। লালদীঘির পাড়ে কোন পাগল নাচলেও এর কাছাকাছি লোক সমাগম হয়। তারা আশা করেছিল বিদেশীরা তাদেরকে কোলে করে নিয়ে ক্ষমতায় বসাবেন, সে আশায়ও ঘোরে বালি। রোড মার্চেও জনগণ সংকট তাই বিএনপি প্রচন্ডভাবে হতাশ।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে প্রয়াত সাংবাদিক আজাদ তালুকদারের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও শোকসভায় বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপাত্তা উপদেষ্টার সাথে বৈঠক হয়েছে, জি-২০ সম্মেলনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সাথে বৈঠক হয়েছে। বিএনপি এ রকম আল্টিমেটাম গত ১৩-১৪ বছরে এ রকম আল্টিমেটাম বহুবার দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বরের আল্টিমেটাম, বেগম খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিদেশ পাঠানো আল্টিমেটাম। তারা এবার ১৮ তারিখে আবারো আল্টিমেটাম দিয়েছে। ১৮ তারিখ সেটা কি এ বছরের, নাকি আগামী বছরের, না তারপর বছরের, সেটি নিয়েও অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। সুতরাং এসব ফাঁকা বুলি ছাড়া অন্য কিছু নয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গতকাল বিএনপির মহাসচিব যেটা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এটা থেকে প্রমাণিত হয় তারা নির্বাচন কে ভয় পায়। তাদের নানা কর্মসূচিতে জনগণের উপস্থিতি দেখে তারা বুঝতে পেরেছে নির্বাচনে তাদের জয় লাভ করার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই তারা নির্বাচনকে ভয় পেয়ে, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা করছে। দেশের জনগণ এটি কখনো মেনে নিবে না।

দোয়া মাহফিল ও শোকসভায় একুশে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নজরুল কবীর দীপুর সভাপতিত্বে বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ওবাইদুল করিম দুলাল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস , সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব মহসিন কাজী , শামসুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।