রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার ঘোষণা

মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ আগস্ট) রোহিঙ্গাদের ওপর দমন অভিযানের পাঁচ বছর পূর্তিতে এক বিবৃতিতে তিনি ঘোষণা দেন। তবে কখন, কতজন রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি ।

বিবৃতিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, পাঁচ বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বর্বর অভিযান চালায়। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ধর্ষণ, নির্যাতন এবং ব্যাপক মাত্রায় সহিংসতা চালিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করা হয়। ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় এবং বাংলাদেশে আশ্রয় চায়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে নৃশংসতা চালিয়েছে তা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল এবং যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা মাতৃভূমিতে নিরাপদে ফিরতে পারছে না। ২০১৭ সাল থেকে তাদের সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও অঞ্চলের অন্যান্য জায়গায় এই সংকটের শিকার ব্যক্তিদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র ১৭০ কোটি ডলারের বেশি অর্থের জোগান দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারসহ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া এই অঞ্চলের অন্যান্য সরকারের প্রতি সংহতি জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

ব্লিঙ্কেন বলেন, আন্তর্জাতিক সমন্বিত মানবিক প্রতিক্রিয়ার অপরিহার্য অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশসহ এ অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে কাজ করছি, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের জীবন পুনর্গঠিত করতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এই রোহিঙ্গাদের স্বভূমিতে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও এখনো তা কার্যকর হয়নি। আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।