রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুড়লো ২ হাজার ঘর

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়েছে ২ হাজার রোহিঙ্গা বসতি। রোববার (৫ মার্চ) দুপুর তিনটার দিকে বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত তা ৯, ১০, ১২ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়লে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহহীন হয়েছেন প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা।

অগ্নিকাণ্ডে ২ হাজারের অধিক ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হওয়া ছাড়াও পুড়েছে শতাধিক দোকান, ২০টির বেশি বেসরকারি সংস্থার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রোহিঙ্গা শিশুদের পাঠদানের লার্নিং সেন্টার, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র, ৩৫টি মসজিদ-মাদ্রাসা।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট সর্বশক্তি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। ২ হাজারের কাছাকাছি ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিশ্চিত করে বলতে সময় লাগবে। এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।’

উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইন চার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) সরওয়ার কামাল জানান, ‘প্রায় ৩ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ শুরু করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুনের ঘটনা ঘটছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

৮ আর্মড পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। গঠিত কমিটিতে জেলা পুলিশের একজন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের একজন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একজন, ফায়ার সার্ভিসের একজন, গোয়েন্দার সংস্থার একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে অগ্নিকাণ্ডর ঘটনার রহস্য অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছেন এই কমিটি।

প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে ৯, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর মরা গাছতলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘ডি’ ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।