র‍্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় ২ জঙ্গি আটক, মামলা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় ২ জঙ্গি নেতাকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের পাহাড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে ২টি অস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের এক সদস্য এ ঘটনায় বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন- জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান ওরফে রণবীর ওরফে মাসুদ এবং তার সহযোগী আবুল বাশার ওরফে আলম।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি টান্টু সাহা বলেন, সোমবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে র‍্যাব থানায় হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার সকালে র‍্যাবের এক সদস্য বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, অযানস্থল উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকায় হলেও অস্ত্র উদ্ধার এবং জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গ্রেপ্তারের ঘটনাস্থল বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন। সকালে মামলাটি নথিভুক্ত করার পর গ্রেপ্তারদের বান্দরবান আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে,গত সোমবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকে জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র এক শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান করছে খবরে র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক স্থানে পৌঁছালে র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের সন্দেহজনক ৮ থেকে ১০ জন লোক দৌড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির পর র‍্যাব সদস্যরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।