র‌্যাব জনগণের কাছে একটি বিশ্বাসের নাম—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন র‌্যাব জনগণের কাছে একটি বিশ্বাসের নাম, আস্থার নাম। র‌্যাব সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলও দস্যুমুক্ত করতে সক্ষম হবে। র‌্যাব এবং সাংবাদিকদের যৌথ প্রচেষ্টায় আজ ৫০ জন স্বাভাবিক জীবনের ফিরছে। এই কাজে যারা সম্পৃক্ত তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় র‌্যাব-০৭এর সদর দপ্তরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলের ৫০ জন জলদস্যুর আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

র‌্যাব জনগণের কাছে একটি বিশ্বাসের নাম—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 1

র‌্যাব-০৭এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ এমএ লতিফ, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, র‌্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মাহাবুব আলম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা।

এসময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার কেএম শফি উল্লাহসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আত্মসমর্পনকারীদের বিরুদ্ধে থাকা হত্যা ও ধর্ষণের মামলার দায় আমরা নিতে পারবো না। এসব মামলা তারা আইনীভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমরা সুযোগ দিয়েছি স্বাভাবিক জীবনে ফেরার। অতীতেও র‌্যাবের উদ্যোগে দুই দফায় জলদস্যুরা আত্মসমর্পন করেছে। তাদের অনুসরণ করে অন্য দস্যু যারা আছে তাদেরও আমি স্বাভাবিক জীবনের ফিরতে আহ্বান জানাই।

পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যারা আত্মসমর্পন করেছে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। কেউ যদি আবার দস্যুতায় ফিরে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
র‌্যাব জনগণের কাছে একটি বিশ্বাসের নাম—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 2

র‌্যাব জানায়, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে জলদস্যু জসিম গ্রুপের ৬ জন, মিন্টু গ্রুপের ৫ জন, মাহমুদুল করিম গ্রুপের ৩ জন, রমিজ গ্রুপের ৩ জন, বদল্যা ডাকাত গ্রুপের ৫ জন, ইয়ার আলী গ্রুপের ৩ জন, নাছির গ্রুপের ২ জন, জালাল গ্রুপের ২ জন, সুলতান ও কালা রশিদ গ্রুপের ২ জন করে ৪ জন, গুড়া কালু গ্রুপের ৫ জন এবং অন্যান্য কয়েকটি গ্রুপের ১০ আত্মসমর্পন করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে এক নারী।

জলদস্যুরা ৩৫টি লোহার তেরি দেশীয় একনলা বন্দুক, দেশীয় এসবিবিএল ও ওয়ান শূটার ১৭টি ৩৪টি অস্ত্র মোট ৯০টি অস্ত্র, ২৮৩ রাউন গুলি বা কার্তুজ জমা দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিক্রয়া চলমান রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।