রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের ২ ও ৩ নম্বর গাউসপুর ও ফরেস্ট অফিস এলাকায় কাচালং নদীর অববাহিকায় খালের ওপর নির্মিত দীর্ঘদিনের পুরোনো, ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১টায় গাউসপুর সেতু সংলগ্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ সেতুটি পুননির্মাণের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
বগাচতর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বশরের সভাপতিত্বে ও দীপংকর তালুকদার গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রাকিব হাসান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গুলশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ ফরাজী সাকিব, লংগদু উপজেলা নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবিএস মামুন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা প্রশাসন এ সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে দু’পাশে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছি আরও ৫ বছর আগে। কিন্তু এখনও এর কোনো উদ্যোগ বা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সেতুটি দ্রুত পুনর্নির্মাণ না হলে ভেঙে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করেন। এছাড়াও তিনটি ইউনিয়নের যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তার উপর নির্মিত সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় কয়েকবছর যাবৎ পরে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটির উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ ও কয়েক মেট্রিক টন কাঁচা মাল। দেশ যখন উন্নয়নের মডেল হয়েছে আমরা কেন পিছিয়ে?
তারা বলেন, ৭০ মিটারের এই সেতুটি সরকার চাইলে যেকোনো সময়ই করতে পারে। কিন্তু কথা বলার কেউ নেই, সবাই আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছে। কোনো ধরনের দুর্ঘটনায় এদায় কেউ এড়াতে পারবে না। এলাকাবাসীর দাবি সেতুটি ভেঙ্গে দ্রুত পুনর্নির্মাণ করা হোক।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আব্দুল করিম হাওলাদার, আবু মুছা ও আবু তালেব, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন, ফারুক আহমেদ সহ স্থানীয় শিক্ষক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জনগণ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।