লংগদুতে বাবু’র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা, এগিয়ে জনগণের কাছেও

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় আগামী বুধবার (২৯ মে) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনের ভোট ব্যাংক খ্যাত লংগদু নানা কারণে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নজর থাকবে সবার।

এবার লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থীর মধ্যে আনারস প্রতীকে বাবুল দাশ বাবু ভোটের সমীকরণে বেশ এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে। এ উপজেলায় ভোটের মাঠে চলছে বিভিন্ন সমীকরণ। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উপজেলার জনসাধারণের মধ্যে বাড়ছে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে উন্মাদনা। এদিকে অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে আছেন বাবু।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু রাজনীতিতে বেশ সক্রিয়। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলে তৈরি করেছেন শক্ত অবস্থান। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কাজেও অংশ নেন নিয়মিত।

মাইনীমূখ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল জানান, আমাদের নেতা সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হওয়ায় ভোটার ও নেতাকর্মীদের কাছে পরিচিতিও তার বেশি। এ সবকিছুই মূলত ভোটের মাঠে জনপ্রিয় করে রেখেছে বাবুল দাশ বাবুকে।

লংগদু উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. চান মিয়া জানান, উপজেলার ৭ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রচারণা। আচরণ বিধি মেনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে নিয়মিত চলছে আমাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল দাশ বাবুর গণসংযোগ ও পথসভা।

চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে সর্বত্র এখন নির্বাচনের ভোট নিয়ে আলোচনা। প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকল বিবেচনায় ও সমীক্ষায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী বাবু অনেক এগিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন বিশ্লেষক ও স্থানীয় ভোটাররা।

আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অজয় চাকমা মিত্র জানান, যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে অনেক ব্যবধানে বিজয়ী হবেন বাবুল দাশ বাবু। আমরা চাই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক।

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সেলিম বলেন, আমরা চাই লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদে একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যোগ্য নেতা বসুক। যে স্মার্ট লংগদু বিনির্মাণে দেশনেত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করবে ও দলকে সুসংগঠিত-শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে। আর এমন নেতাই হলেন এবারের আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল দাশ বাবু।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে বাবুল দাশ বাবু বলেন, আমি লংগদুবাসীর জন্য সবসময় নিবেদিত হয়ে কাজ করেছি এবং সকল পরিস্থিতিতে তাদের পাশেও ছিলাম। এখন তাদের জন্য আরও কিছু করতে চাই। এলাকার মানুষের প্রতি আমার একটা ভালোবাসা রয়েছে। তাই আমার বিশ্বাস তারা আমাকে জয়ী করবেন।

তিনি আরও জানান, সৃষ্টিকর্তা আমাকে দু’হাত ভরে দিয়েছেন। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে আজকের এ অবস্থান পুরোটাই। জনপ্রতিনিধি হয়ে এবার উপজেলাবাসীর ইচ্ছে পূরণ করার জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের ঘামের মূল্য দেওয়ার জন্য তাদের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছি। আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে বুঝতে পেরেছি জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের জন্য কাজ করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। সেই থেকে আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।

এ উপজেলায় চার চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও এবারের নির্বাচেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলায় মোট ভোটার ৬১ হাজার ২৬৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩১ হাজার ৮৮৭জন ও মহিলা ভোটার ২৯ হাজার ৩৮৬জন। উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২৩টি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।