লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণ বিপাসুদের ভিড় জমেছে। ইনানী, সৈকত, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, রামুতে বিনোদন কেন্দ্রগুলো এখন পর্যটকে ভরপুর। সবর্ত্র ঠাই নাই, ঠাই নাই অবস্থা।

খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, ঈদের এক মাস আগে থেকেই অফলাইন এবং অনলাইনে হোটেল বুকিং শুরু হয়। শেষ সময়ে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে আসার সুযোগ পেলেও হোটেলে রুম পায়নি। অনেকেই ঈদুল আজহার আগেই কক্সবাজার এসে ঈদ উদযাপন করেছেন। বিশেষ করে অমুসলিম বেশ কিছু পর্যটক ঈদের আগেই কক্সবাজার এসেছেন বলে জানা গেছে। ঈদের ৪র্থ দিনে গতকাল মঙ্গলবার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস, রেস্ট হাউসে শতভাগ বুকিং আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টারা। এভাবে আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে বলেও জানান, হোটেল-মোটেল মালিকরা।

এদিকে কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরাবরই শান্ত। যে কারণে দেশ বিদেশের পর্যটকরা এখানে ভ্রমণে নিরাপদ বোধ করেন। তাই প্রতিবছর কক্সবাজার ভ্রমণ করেন লাখ লাখ পর্যটক।

অন্যতম পর্যটন উদ্যোগক্তা টুয়াক নেতা মুকিম খান বলেন, দীর্ঘ ঈদুল আজহার ছুটিতে এবারে পর্যটন মৌসুমের চেয়েও বেশি পর্যটক এসেছে। তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে পর্যটকদের নির্ভয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের প্রবণতাটা বেশি দেখা গেছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, পর্যটকের চাপে পরিবহন সংস্থাগুলো অতিরিক্ত বাস চালু করে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি পর্যটক ভ্রমণ করে বিমানে। পাশাপাশি রেলের টিকেট পাওয়াও দুঃসাধ্য ব্যাপার। হোটেল মোটেল-রেস্টহাউজ গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ঈদুল আজহার এই লম্বা ছুটি কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য একটি বিশাল ব্যাপার। এতে যেমন কক্সবাজারের পর্যটনের বিকাশ ঘটেছে। তেমনি হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন ব্যবসায়ীদের জন্যও এটি একটি দারুণ খবর। কোটি কোটি টাকার টার্ণওভার হচ্ছে।

টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, এই দীর্ঘ ছুটিতে ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটলেও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা জনিত কোনো সমস্যা হয়নি। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শহরে ব্যাপক পর্যটকের চাপ থাকলেও সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে আছে।

এদিকে ঈদের ৩য় দিনে সাগরে গোসল করতে নেমে পিতা পুত্রসহ ৬ পর্যটকের দুঃকজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অনুসন্ধানে এ ব্যাপারে কয়েকটি বিষয় জানা গেছে। সাগরে সাঁতার কাটার বিষয়ে অনভিজ্ঞতার কারণে এদুর্ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন পরিচালিত সীবিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এই দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারেনা। কারণ হোটেল মোটেল জোন ও সৈকত থেকে পাওয়া কোটি টাকা সীবিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি কি করেন তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সৈকতে এই প্রতিবেদকের কথা হয় ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটের কয়েকজন পর্যটকের সাথে। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে না পেরে তাদের কক্সবাজার ভ্রমণের স্বাধই যেনে অপূর্ণ থেকে যায়। তারা সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াতের সুযোগ দেয়ার দাবি জানান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।