লোহাগাড়ায় দুই চৌধুরীর ‘লড়াইয়ে’ মাবুদের ভাগ, শেষ প্রচারণা

খোরশেদ আলম চৌধুরী এবং সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। দুই এলাকার দুইজনই চৌধুরী পরিবারের সন্তান। তারা আবার সম্পর্কে বেয়াই। এরমধ্যে প্রথমজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অপরজন চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। দুইজনই এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। আর তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় ভাগ বসিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মাবুদ সৈয়দ। সব মিলিয়ে ৩ প্রার্থীর শক্ত অবস্থান হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে এ উপজেলায়। এখন দেখার বিষয় আগামী ৫ জুন ব্যালটের লড়াইয়ে কে জয়ী।

জানা গেছে, এবারের এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন ৩ জন। তারমধ্যে খোরশেদ আলম চৌধুরী আনারস প্রতীকে, সিরাজুল ইসলাম ইসলাম চৌধুরী ঘোড়া এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মাবুদ সৈয়দ মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

মূলত ভোটের মাঠ গরম রেখেছেন প্রথম দুইপ্রার্থী। তাই আলোচনা-সমালোচনা কিংবা হিসাব-নিকাশ চলছে তাদেরকে ঘিরেই। এরমধ্যে খোরশেদের পক্ষে একাট্টা হয়ে কাজ করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণের একটি অংশ। অপরদিকে সিরাজের পক্ষে কাজ করছেন উপজেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের সমর্থকের একটি অংশ। তাই ভোটের দিন তাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এমনটাই আঁচ করছেন জনসাধারণ।

ভোটের মাঠে দুইজনেরই শক্ত অবস্থান হওয়ায় এখন একজন অপরজনের পথের কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছেন। আবার এ দুইজন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আবদুল মাবুদ সৈয়দের পথের কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছেন। তবে তিনিও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই মাঠ-ঘাট, পাড়া-মহল্লা সকাল-রাত পর্যন্ত চষে বেড়িয়েছেন প্রার্থীরা। সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, স্মার্ট লোহাগাড়া বিনির্মানসহ নানা প্রতিশ্রুতিতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে মনজয়ে ব্যস্ত ছিলেন তারা। অলি গলি ছেয়ে গেছে পোস্টার-ফেস্টুনে। পাশাপাশি সমানতালে চলেছে সুরে ছন্দে মাইকিংও। যা সোমবার (৩ জুন) শেষ হয়েছে।

এদিকে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরমধ্যে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে শাহীন আক্তার (ফুটবল) ও জেসমিন আকতার (কলস)। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মো. জামিল উদ্দীন (টিউবওয়েল), মোহাম্মদ সরওয়ার মামুন (চশমা) ও ফরহাদুল ইসলাম (তালা) প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

উল্লেখ্য,উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ২৩ হাজার ৬২৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ১০৮ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৪ হাজার ৫১৮ জন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।