চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চারম্বা ইউনিয়নের মজিদের পাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে নাজির আহমেদ। ভাগ্য বদলাতে স্বজনদের ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন মরুর দেশ সৌদি আরবে। সৌদি পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর স্থান হয় কারাগার। সেখান থেকে দূতাবাসের সহায়তায় ফিরে আসেন দেশে। ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন শেষ করার আগেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলো।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে বলে চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন ব্র্যাক মাইক্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপক আল আমিন নয়ন। তিনি বলেন, নাজির আহমেদসহ ৪০ জন আজ দুপুরে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সৌদি থেকে বিমানবন্দরে নামার পরপরই নাজির আহমেদ মারা যান। সরকারী ব্যবস্থাপনায় তার লাশ গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাঠানো হয়েছে।
নাজির আহমেদের শ্যালক আব্দুল গনি বলেন, দুপুর ১টার দিকে ঢাকা থেকে ফোন করে আমাদের খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা লাশের অপেক্ষায় আছে।
নাজির আহমেদের সংসারে দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে আছে। নাজির আহমেদ সৌদি যাওয়ার আগে মালয়েশিয়া ছিলেন বলেও জানান তার শ্যালক আব্দুল গনি।
নাজির আহমেদ সৌদি পুলিশের হাতে আটকের খবর জানতেন কিনা জানতে চাইলে আব্দুল গনি বলেন, দুলাভাই আটক হওয়ার খবর আমরা পেয়েছিলাম। যে কোনো মুহূর্তে দেশে পাঠিয়ে দিবে সেটা জানতাম। কিন্তু দেশে এসে তিনি এভাবে মারা যাওয়াটা আমাদের জন্য খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।