শত কোটি টাকার বিনিয়োগে আফমি প্লাজার ঈদ বাজার

পোশাকের পাশাপাশি প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পন্যের দেশীয় শীর্ষ ব্র্যান্ডের সাথে নগরীর আফমি প্লাজায় রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত বিভিন্ন পন্যের সমাহার। দেশ-বিদেশের এসব নামী-দামী পন্যের জন্য এই মার্কেট ধনীদের মার্কেট হিসেবে পরিচিত। করোনার মন্দা কাটিয়ে ব্যবসায় ফিরতে তাই মুখিয়ে আছেন এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। প্রায় শতকোটি টাকার বিনিয়োগে সবাই সাজিয়েছেন নিজস্ব দোকান।

আফমি প্লাজার ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে তাদের ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে তারা চট্টগ্রাম খবরকে এসব তথ্য জানান।

আফমি প্লাজার লিবাস শো-রুমের মালিক মো. এরফান উদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, আমার দোকানে চলে এসেছে এবার ঈদের পণ্য। এখানে ক্রেতারা সব রঙের শতাধিক ডিজাইনের পাঞ্জাবি পাবেন। এই ঈদে প্রায় ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি।

স্কাই মুনের অংশীদার মোহাম্মদ বেলাল বলেন, আমার দোকানে অত্যাধুনিক সব ডিজাইনের পাঞ্জাবি, অর্ধশতাধিক ডিজাইনের শার্ট এবং দেশ-বিদেশের নানা ব্র্যান্ডের প্যান্ট তোলা হয়েছে এবার। এ ঈদে আমি প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। এবার ব্যবসা ভালো হবে এ প্রত্যাশায় আছি।

ডিভাইন শো রুমের পরিচালক মো. ইমরান খান বলেন, আমার দোকানে এবার প্রায় তিনশ ডিজাইনের পাঞ্জাবি তোলা হয়েছে। এবার ইনশাআল্লাহ বিক্রয় ভালো হবে। দোকনে এবার প্রায় ৪৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি।

মার্কেটের বিসমিল্লাহ শো রুমের পরিচালক মোহাম্মদ ফায়াজ বলেন, আমি দোকানে পাকিস্তানি পণ্য বিক্রয় করি। এবারের কালেকশন বেশ ভালো। আমি এবার ১২ লাখ টাকার মাল তুলেছি দোকানে।

ইউরো পয়েন্ট শো রুমের পরিচালক জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী মান্নু বলেন, আমার দোকানে ঈদের কালেকশন চলে এসেছে। আমার এখানে ওয়ান পিচ, লেডিস ব্যাগ, প্যান্ট পাওয়া যাবে। আমি এবার ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। এবার ব্যবসা ভালো হবে এ প্রত্যাশায় আছি।

আফমি প্লাজার বিক্রয় উৎসব কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও সমন্বয়ক স্বপন মুহুরী বলেন, আমরা বেশির ভাগ বিদেশি পণ্য বিক্রয় করি। এবার ক্রেতাদের ভীড় রোজার শুরু থেকেই শুরু হয়েছে। আমরা এবার পুরো রোজায় ক্রেতাদের জন্য ৩টি র‌্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। ৩টি র‌্যাফেল ড্রয়ের ১ম পুরষ্কার থাকছে ১টি করে মোটর সাইকেল। চাঁদ রাতে ক্রেতাদের জন্য র‌্যাফেল ড্রতে মোটর সাইকেল ছাড়াও আরো ১১ টি পুরষ্কার থাকছে।

আরও পড়ুন:
জহুর হকার্স মার্কেট– গরীবের মার্কেটে ধনীদের বাজেট

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।