মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত।ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে দেশটি। বিশ্ববাণিজ্যের চাহিদা পূরণের অন্যতম স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিত্তশালীরা বিনিয়োগ করছেন এখানে। দেশটিতে ব্যবসায় বিনিয়োগে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশীরাও।
তেমনই আমিরাতের শারজাহ প্রদেশের সুক আল জুবাইল মার্কেটে বাংলাদেশিদের ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এ মার্কেটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান । এছাড়াও বিশাল মার্কেটে রয়েছে তাজা ফলের বিচিত্র সমাহার।
দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এখানে খুচরা ব্যবসায়ীরা পণ্য কিনতে আসেন। প্রায় সব ধরনের ফল ও সবজির মজুদ থাকায় পাইকারি দামে পণ্য কিনে নিয়ে যান খুচরা ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। যারা দেশ থেকে আমদানি করেন মৌসুমি নানা ফল ও তাজা সবজি। শুধু বাংলাদেশ নয়, এসব ব্যবসায়ীর আমদানি-রপ্তানির সম্পর্ক রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়াসহ বেশকিছু দেশে।
বিশাল এ মার্কেটে রয়েছে বিভিন্ন জাতের তাজা মাছের মার্কেট,গরুর মাংসের মার্কেট,খাসির মাংসের মার্কেট,বিভিন্ন জাতের মৌসুমি ফলের মার্কেট,বিভিন্ন জাতের খেজুর মার্কেট সহ রয়েছে সুপার মার্কেট।
সুস্বাদু ফলের মধ্যে রয়েছে ফলের মধ্যে রয়েছে আপেল, আঙুর, তরমুজ, খেজুর, কমলা, আনারস, সাম্মাম (হলুদ তরমুজ), ড্রাগন, পেঁপে,আম, স্ট্রবেরি, অ্যাভোকাডো, মানডারিন, সফেদা, চেরি, পিচ, নাশপাতি, পেয়ারা, জলপাই, মাল্টা, বাতাবিলেবু, কাঁঠাল, কলা প্রভৃতি।
সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, আলু, টমেটো, শসা, শালগম, গাজর, ঢ্যাঁড়স, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, ভুট্টা, ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম, কাঁকরোল, করলা, পটোল, কচুর লতি প্রভৃতি। এ ছাড়া আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচসহ বিক্রি হয় শাকও।
বাংলাদেশি এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে ৩ থেকে ৪ জন কর্মী। দিনে প্রায় ৩ হাজার দেরহাম বেচাকেনা হয় যা বাংলা টাকায় ৯০ হাজার টাকা। সে হিসেবে মাসে ৯০ হাজার দেরহাম যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ২৭ লাখ।
শারজাহ সুক আল জুবাইল মার্কেটের ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম এর মোহাম্মদ কাইছার মির্জা জানান একটি সময় এ মার্কেটে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ছিল না,যার কারণে বাংলাদেশি কর্মীদের ও চাহিদা ছিল না,তবে বর্তমানে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান বেড়ে যাওয়াতে শ্রম বাজার দখল করে নিচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীরা।
এসব বাঙালি প্রতিষ্ঠানে সৃষ্টি হচ্ছে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান। যার মাধ্যমে একদিকে নিজে সাবলম্বী হচ্ছে অন্য দিকে দেশ পাচ্ছে একটি বড় অংকের রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশের রেমিটেন্স-প্রবাহ অব্যাহত রাখতে ভিসা জটিলতার বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে মনোযোগী হওয়ারও আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।