শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে চবি কর্তৃপক্ষের মামলার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের বাসভবন ও পরিবহন দপ্তরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশাসনের দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত হয় এ কর্মসূচি।

এসময় শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো—১. শিক্ষার্থীদের নামে দেয়া অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, ২.আহত শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ সুস্থতার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে, ৩.শাটল ট্রেনে সকলের সিট নিশ্চিত করতে হবে এবং ফিটনেস বিহীন বগি ও ইঞ্জিন সংস্করণ করতে হবে এবং ৪. চবি মেডিকেলে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং পর্যাপ্ত মেডিসিনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এসময়, ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাইনুল হিমেল বলেন, শাটল ট্রেনে শিক্ষার্থী আহতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিল। এর মধ্যে কে বা কারা ষড়যন্ত্র করে ভাঙচুর চালিয়েছে। যারা ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা সাধারণ শিক্ষার্থী হতে পারে না৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল সময় নিয়ে তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করে তারপর মামলা দেয়া। কিন্তু তা না করে প্রশাসন ঢালাওভাবে শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দিয়ে দিছে। এটা কোনোভাবেই উচিত হয়নি। আমরা দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। ঢালাওভাবে মামলা না দিয়ে আসল যারা অপরাধী তাদের বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।

মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষর্থী সুমাইয়া শিকদার বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভাঙচুরে ছিলনা। ষড়যন্ত্রকারীরা ভাঙচুর করেছে। আমরা বারবার বলতেছি তদন্ত করে জড়িতদের বের করা হোক তারপর মামলা দেয়া হোক।

সমাজতত্ব বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সামিহা ইসলাম বলেন, আমাদের মূলত আন্দোলন ছিলো শাটলের সিট সমস্যা সংক্রান্ত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটার সমাধান না করে ছাত্রছাত্রীদের নামে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামালা দিয়েছে।। আমরাও চাই দোষিদের খুজে বের করা হোক কিন্তু আমাদের সমস্যা গুলোর সমাধান দিতে হবে। এবং মামলা গুলো প্রত্যাহার করতে হবে।

এর আগে গত শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা দুটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যেগুলোর বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ ও ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। ২ মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়াও অন্তত ১ হাজার অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।