‘শিশু শেখ রাসেল হত্যা জায়েজ কি-না, ইতিহাসকে জবাব দিতে হবে’

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন এবং ‘শেখ রাসেল’ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সংগঠন কার্যালয়ে সভাপতি মাহাবুবুল হক সুমনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদারের পরিচালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শেখ রাসেলের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং কেক কাটা কর্মসূচি পালন করা হয়।

এতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিহাসকে জবাব দিতে হবে; সভ্যতাকে জবাব দিতে হবে; কৃষ্টিকে জবাব দিতে হবে; ধর্মকে জবাব দিতে হবে; ঈমানকে জবাব দিতে হবে যে—১০ বছরের শিশুকে হত্যা করা জায়েজ কি-না? এ জবাব কারও কোনো ব্যক্তিগত জবাব নয়। সমগ্র জাতিকে নেমেসিস হিসেবে এর জবাব দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকচক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পাননি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। সে সময়ে রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। সে কারণেই ১১ বছরের শেখ রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। আজকে দেশের মানুষ অকপটে স্বীকার করেছে তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।

শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষের কাছে পরম আদরের নাম বলে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে।মানবিক চেতনাসম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। আমাদের দাবি, সেই সকল দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন-চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সহ-সডাপতি নুরুল আনোয়ার, হেলাল উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন সাকু, যুগ্ম-সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ সাদিত, সাইফুদ্দিন আহমেদ সাংগঠনিক সনত বড়ুয়া, দিদার উর রহমান তুষার, ইঞ্জিনিয়ার আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সুমন চৌধুরী, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ওমর ফারুক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক নঈম উদ্দিন খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আলমগীর টিপু, উপ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শরিফুল ইসলাম আদনান, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক শাহজাহান আহমেদ সামি, সহ-সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল নিপু চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।