শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: নিহত বেড়ে ৭, ১৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ১০টার দিকে নদীর সৈয়দপুর আল আমিন নগর কয়লাঘাট এলাকা থেকে এক ব্যক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

তিনি আরও জানান, নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারে নদীর তলদেশে ও নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তলাশি করা হবে।

এর আগে আজ (সোমবার) ভোর সোয়া ৫টার দিকে ১৬ ঘণ্টা পর মাঝনদী থেকে ‘এমএল আফসার উদ্দিন’ নামে ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি টেনে পাড়ে আনে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারীরা লঞ্চটির ভেতরে তল্লাশি চালান। তারা জানান লঞ্চের ভেতরে কোনো লাশ নেই।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে মুন্সিগঞ্জগামী এম এল আফসার উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চকে সিটি গ্রুপের এম ভি রুপসী-৯ নামের কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যে ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৭ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। অপর দুইজন নারী, একজন পুরুষ ও দুই শিশু। সেই সঙ্গে ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।