শেষ মুহূর্তের গোলে জয় দিয়ে বছর শেষ করলো বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচে আলি ফাসিরের একমাত্র গোলে মালদ্বীপের কাছে হারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও গোলে দেখা পান ফাসির। তার গোলে আরও একবার পিছিয়ে পড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল করে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান মজিবুর রহমান জনি। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পাপন সিংয়ের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে নিজেদের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২-১ গলে জয় পেয়েছে তপু বর্মনের দল।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বসুন্ধরার কিংস অ্যারেনা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৯ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন মালদ্বীপের ফুটবলার। তবে তা চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। কিন্তু ম্যাচের ২৩ মিনিটেই গোলের দেখা পায় মালদ্বীপ। বাংলাদেশের ডিফেন্সের ভুলে বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন ফাসির আলি।

পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ম্যাচের ২৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন রাকিব হোসেন। তবে তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে।

ম্যাচের ৪০ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। বাম দিক থেকে রাকিবের বাড়ানো বল শট করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তবে তা আটকে দেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক। ফিরতি বলে শট করেন মোরসালিন। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে।

ম্যাচের ৪৩ মিনিটে গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। ডি বক্সের বাইরে অসাধারণ শটে বল জালে জড়ান জনি। তার গোলে ম্যাচে সমতা আনে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতিতে থেকে ফিরেই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট করেন রাকিব। তবে তা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক। এর ৩ মিনিট পরেই গোলের সুযোগ পায় মালদ্বীপ। আলি ফাসিরের নেওয়া হেড দারুণ সেভ করেন গোলরক্ষক মিতুল মার্মা।

এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দু’দল। তবে গোলের দেখা পাননি কেউ। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। দূরপাল্লার শটে আটকে দেন মালদ্বীপেরম গোলরক্ষক। সেখানে থেকে পাওয়া বল গোলে করতে ব্যর্থ হন অভিষিক্ত পিয়াস আহমেদ নোভা।

তবে ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। শাহরিয়ার ইমনের পাস থেকে বল জালে জড়ান পাপন সিং। তার গোলে ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড পায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।