সংকট চলছে, এখন বড় প্রকল্পে অর্থায়ন হচ্ছে না—ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমানে চারদিকে সংকট চলছে। আমরাও বিপদে আছি। তবে আমরা সংকট থেকে সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছি। এখন বড় বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করা হচ্ছে না। কেননা আগে জনগণকে বাঁচাতে হবে। জনগণ বাঁচলে অর্থনীতি বাঁচবে। আর অর্থনীতি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। সামনের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইউরোপসহ সব দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। পাকিস্তানে হাফ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে রিজার্ভ। সেখানে বাংলাদেশে রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। এটা স্থিতিশীল কন্ডিশন। দেশে ৫ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ আছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।

‘চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির প্রাণস্পন্দন’ হিসেবে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জাতীয় অর্থনীতির সমৃদ্ধির স্বার্থে চট্টগ্রাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’। এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল। টানেলটি নির্মাণকাজ প্রায় ৯৫.৫০ শতাংশ শেষ। ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। একসময় কেউ ভাবেনি বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সাংহাইয়ে শহরে রূপ নিবে। আমি আশাবাদী, চট্টগ্রাম আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম হবে ওয়ান সিটি টু টাউন।

কাদের বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ২টি অংশ। এর একটি অংশ স্বাধীনতা আর একটি অর্থনৈতিক মুক্তি। দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অর্থনৈতিক মুক্তির বড় স্থাপনা পদ্মাসেতু প্রকল্প থেকে যখন বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো তখন পদ্মাসেতুর স্বপ্ন ছিলো হতাশায় ঘেরা। ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধুর সাহসী কন্যা সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। সেই পদ্মাসেতু আজ স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই। কোথাও তত্ত্বাবধায়কের চর্চা নেই। গণতন্ত্র এত দিন ধরে চলছে আমাদের দেশে। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান। এটি বিকাশমান পর্যায়ে আছে এবং এই বিকাশমান গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে ভুলত্রুটি সংশোধন করতে পারবে। বিকাশের ধারায় গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।