সংযোগ বন্ধ করে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়েও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত বিদুৎকর্মী

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঘাটচেক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মনিমুল ওয়াদুদ (৪০) নামে এক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মী বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে ৩৩ কেভি লাইন রক্ষণাবেক্ষণ ও গাছপালার ডাল কাটতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার পরেও বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন তিনি। এতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের গাফেলতি দেখা গেলেও, তা অস্বীকার করছেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা।

শনিবার (৭ মে) বেলা ১২ টার সময় উপজেলার পৌরসভা রোয়াজারহাট ঘাটচেক এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্রঘোনা ৩৩ কেভি লাইন জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ, গাছের ডালপালা কাটা ও আপ গ্রেডেশন কাজের জন্য শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে উপজেলার সরফভাটা, বেতাগী, পোমরা,পারুয়া ইউনিয়নসহ পৌরসভা এলাকায়ও একইসঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে গতকালের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার নোটিশ, এরপরেও খুঁটিতে কিভাবে লাইন চালু থাকে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ জনগন। তারা বলছেন এটি পল্লী বিদ্যুতের পুরোপুরি গাফেলতির কারনে এমন দূর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন- তিনি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে কাজ করছিলেন, এমন সময়ে হঠাৎ দেখতে পাই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে তিনি কাপঁছেন এবং ছটফট করছেন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

পল্লী বিদ্যুতের গাফেলতির বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ রাঙ্গুনিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মাধব নাগের কাছে জানতে চায়লে তিনি বলেন- যে খুঁটিতে তিনি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েছে সে খুঁটিতে দুইদিক থেকে লাইন, যদিও লাইন একদিকে বন্ধ থাকলেও অন্যদিকে চালু থাকার কারনে এমন দূর্ঘটনা হতে পারে। আর বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক থাকার জন্য লাইনের গ্রাউন্ডিং করতে হয়। ধারনা করা হচ্ছে তিনি লাইন গ্রাউন্ডিং এর কাজ করতে বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠেছেন।

পৌরসভা এলাকায় তো বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধের নোটিশ দিয়েছেন তাহলে খুঁটিতে বিদ্যুৎ আসলো কিভাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসলে অই খুঁটিতে দুইদিক থেকে লাইন, লাইন একটি বন্ধ থাকলেও অপর আরেকটি লাইন চালু ছিলো।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।