সংস্কার শেষে খুলে দেয়া হলো চন্দ্রঘোনার থানাঘাট-মিশন সড়ক, জনভোগান্তির অবসান

অবশেষে কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনার থানাঘাট-মিশন সড়কটি পুনঃসংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গত বুধবার (২৫ অক্টোবর) থেকে যান চলাচলের জন্য সড়কটি খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগের অবসান হলো।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটিতে বিভিন্ন যানবানহন ও জনসাধারণ চলাচল করছে। গত ২০ দিন যাবৎ সংস্কার কাজের জন্য সড়কটিতে যান বা জনসাধারনের চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে অনেক দুর পর্যন্ত পায়ে হেটে চলাচল করায় জনভোগান্তি চরমে উঠেছিলো। সড়কটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এবং যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়ায় জনসাধারনের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

সড়কটিতে চলাচলকারী সিএনজি চালক আবুল কালাম জানান, সড়কটি খানাখন্দে ভরা এবং ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় সড়ক সংস্কারের পূর্বে আমাদের বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিলো। অনেক সময় ঝু্ঁকিপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সড়কের বের হয়ে থাকা লোহার রডে গাড়ির চাকা ক্ষতিগ্রস্থ হতো। সড়কটি সংস্কার হওয়ায় দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দুর হয়েছে।

কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙা থাকার ফলে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। পাশাপাশি গাড়ির ঝাঁকুনিতে বয়স্ক মানুষের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতো। তবে সড়কটি এখন মেরামত হওয়ায় এই দুর্ভোগ আর পোহাতে হবে না।

সড়ক সংস্কার কাজের ঠিকাদার বাপ্পী তঞ্চঙ্গ্যা জানান, প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাঙামাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে সড়কটির পুনঃসংস্কার কাজ করা হয়। তিনি বলেন, প্রায় টানা ২০দিনের অধিক সময় নিয়ে একটানা কাজ করে সড়কটি দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কাজ শেষে রাঙামাটি জেলা পরিষদের প্রকৌশল অধিদপ্তরে সড়কটি বুঝিয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, থানাঘাট-মিশন সড়কটির দূর্দশার চিত্র নিয়ে কাপ্তাইয়ের স্থানীয় সাংবাদিকরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত করার পথকে তরান্বিত করে বলে স্থানীয় অধিবাসীরা জানান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।