সচল হচ্ছে সিএমপি, সেবা কার্যক্রম শুরু

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর সারা দেশেই হামলা চালানো হয় পুলিশ এবং থানাগুলোতে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সাতটি থানা জ্বালিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। এরপর অন্যান্য থানাও গুটিয়ে নেয় নগর পুলিশ।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) সিএমপি ১১টি থানার কার্যক্রম শুরু করেছে। চারটি থানা শনিবার কার্যক্রম শুরু করবে। পতেঙ্গা মডেল থানার জন্য নতুন ভবন খোঁজা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ।

চালু হওয়া থানাগুলো হলো-
উত্তর জোন-চন্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী, খুলশী, পাঁচলাইশ।

দক্ষিণ জোনের সদরঘাট, চকবাজার, বাকলিয়া। পশ্চিম জোন পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানা। বন্দর জোনের কর্ণফুলী, বন্দর থানা কার্যক্রম শুরু করেছে।

শনিবার থেকে হালিশহর, ডবলমুরিং থানা ভবনে এবং কোতোয়ালী থানা প্রাঙ্গণে কার্যক্রম শুরু করবে। ইপিজেড থানা নিউমুরিং ফাঁড়িতে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শরু করবে।

প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট কোন রকম নির্দেশনা না দিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ৭ আগস্ট সিএমপিতে সংবাদ সম্মেলন, মিছিল করে পুলিশ সদস্যরা। সেখানে উঠে আসে কমিশনার সাইফুল পুলিশ সদস্যদের জনতার মুখোমুখি করে আত্মগোপনে চলে যান।

অনিয়মের কারছে ৫ বছর চাকরিচ্যূত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি ও ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সরকারের সুনজরে আসেন তিনি। এরপর একাধিক জেলার এসপি, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার তারপর মেট্রোরেল নিরাপত্তা গঠিত বাহিনীর প্রধান থেকে সিএমপিতে পদায়ন হয় তার।

সিএমপিতে আসার পর আওয়ামী লীগে সরকারের বিরুদ্ধে সৃষ্ট গণজোয়ার ঠেকাতে ডিআইজি সাইফুলের নির্দেশে সর্বশেষ ৪ আগস্ট নিউমার্কেট চত্ত্বরে পুলিশ নিরীহ ছাত্রজনতার ওপর গুলি করে। সেই ঘটনায় আহত নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ৩ শতাধিক ছাত্র-জনতা চিকিৎসাধীন আছেন।

অপরদিকে ছাত্রজনতার ওপর গুলি করা কোনো সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারে কোনো পদক্ষেপই নেননি আওয়ামী লীগ সরকারের আশির্বাদপুষ্ট এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।