সন্তানের চিকিৎসার প্রায় ২ লাখ টাকা ফেলে গেলেন সিএনজিতে, উদ্ধার করে দিলো পুলিশ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার জন্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন মো. রহিম উদ্দিন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর বিবিরহাট এলাকার নিজ বাসা থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে মেডিকেল গেইটে পৌঁছান তিনি। তবে সিএনজি থেকে নামার সময় ভুলে ফেলে যান টাকা ভর্তি ব্যাগ। কিছুদূর পরে গিয়ে টাকার কথা মনে হলে পরে সিএনজিটির খোঁজ করেও না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তনি। আবশেষে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে টাকাসহ হারানো ব্যাগ উদ্ধার করে দিলো পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাঁচলাইশ থানায় ভুক্তভোগী মো. রহিমের হাতে হারিয়ে যাওয়া টাকার ব্যাগ তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা ও চমেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুর উল্লাহ আশেক।

হারানো টাকা ফিরে পেয়ে পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মো. রহিম বলেন, টাকার হারানোর পর আমি একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। অনেক খোঁজাখুজির পর সিএনজিটির কোন হদিস না পেয়ে থানায় জিডি করি। পরে পুলিশ খুবই আন্তরিকতার সাথে অনুসন্ধান করে আমার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে। হারানো টাকা পুলিশ এত দ্রুত উদ্ধার করে দিতে পারবে তা আমি চিন্তাও করিনি। এখন আমি অনেক খুশি। একজন অসহায়ের পাশে এভাবে দাঁড়ানোর জন্য পুলিশের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, টাকা হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে গিয়ে আশপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই সিএনজি অটোরিকশা শনাক্ত করা হয়। সিএনজির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিএনজি চালককেও শনাক্ত করা হয়। মানবিক দিক বিবেচনা করে খুবই দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করার চেষ্টা করেছে পুলিশ।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুর উল্লাহ আশেক বলেন, সিএনজি অটোরিকশা চালক শনাক্ত হওয়ার পর চালক টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে চালকের বাসায় অভিযান চালিয়ে ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। ব্যাগে টাকা ও অন্য জিনিসিপত্র ছিল। টাকাসহ ব্যাগটি প্রকৃত মালিকের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে খুবই দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করার চেষ্টা করেছে পুলিশ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।