সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যৌতুক ও মাদককে বিদায় করতে হবে— নওফেল

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং মাদককে সবাই ঘৃণা করে। তবুও যৌতুক ও মাদকের অভিশাপ থেকে নিষ্কৃতি মিলছে না। যারা বিত্তবান ও সচ্ছল তারা বিয়ে শাদিতে অঢেল টাকা খরচ করে কন্যাকে পাত্রস্থ করেন। মূলত এ কারণেই যৌতুকপ্রথা সমাজে জিইয়ে রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, যৌতুক ও মাদকবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ইনসাফভিত্তিক মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই সরকারের বড় লক্ষ্য। সরকারের নানা পদক্ষেপের পাশাপাশি আলেম সমাজসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যৌতুক প্রথা ও মাদককে দেশ ও সমাজ থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।

শনিবার (১২ মার্চ) চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে রজভীয়া নূরীয়া কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ১৩তম যৌতুক ও মাদকবিরোধী মহাসমাবেশ ও গুণীজন সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব বলেন। কমিটির চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কাউছার হামিদের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে মূখ্য আলোচক ছিলেন আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মুহাম্মদ আবুল কাশেম নূরী। তিনি বলেন, দেশ ও সমাজে যৌতুক ও মাদকের মতো জঘন্য ব্যাধি ভয়ংকর রূপ নেবে, আর আমরা আলেম সমাজ তা চেয়ে চেয়ে দেখবো তা কখনো হতে পারে না। যৌতুক-মাদকসহ সকল প্রকার সামাজিক ব্যাধি থেকে নিষ্কৃতির জন্য আলেম, ইমাম ও পীর মাশায়েখকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি যৌতুক, মাদক, নারী ও শিশু নিপীড়ন থামাতে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

মহাসমাবেশে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পীর মাওলানা সৈয়্যদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, যৌতুক ও মাদক সামাজিক ব্যাধি। নিজের অজান্তেই তা আমরা লালন ও পরিচর্যা করছি। আমরা সচেতন নই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে অচিরেই যৌতুক, মাদকসহ সামাজিক অবক্ষয় প্রবণতার রাশ টানা সম্ভব হতে পারে।

মহাসমাবেশ শেষে আল্লামা আবুল কাশেম নূরীর নেতৃত্বে যৌতুক ও মাদকবিরোধী বর্ণাঢ্য র‌্যালি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।