সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে : নগর যুবলীগের সম্মেলনে পরশ

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বই শুধু গঠিত হবে না, একটি নতুন অধ্যায়েরও সূচনা হবে। নতুন নেতৃত্বের হাতে অনেক চ্যালেঞ্জ। নতুন নেতৃবৃন্দকে নতুনভাবে দল গুছাতে হবে। সেইসঙ্গে আগামী নির্বাচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যুবলীগ করতে হলে স্বচ্ছ ও ন্যায়ের রাজনীতি করতে হবে।

সোমবার (৩০ মে) দুপুরে নগরের দি কিং অব চিটাগাং-এ নগর যুবলীগের সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে নীল নকশা তৈরি করছে একটি মহল। এ অপচেষ্টা বাস্তবায়ন করতে এক-এগারোর কুশীলবরা উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু এটি কখনো সম্ভব না। কারণ শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। এদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে বিশ্বাসযোগ্য আর কেউ নেই।

তিনি আরও বলেন, কথিত সুশীলরা আরও একটি এক-এগারোর আয়োজন করতে চায়। ক্ষমতার লোভে আপনারা এসব অপরাধ বন্ধ করেন। কোনও জাতীয় সংকটে তো আপনারা জনগণের পাশে থাকেন না। আপনারা ভুলে যাবেন না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন জনগণই তাঁর শক্তি। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে৷ তিনিই ন্যায়ের প্রতীক। কিছু কিছু গণমাধ্যম বিরোধী দলের ভূমিকায় নেমেছে। গণমাধ্যম দেশের চতুর্থ স্তম্ভ। সরকার ব্যর্থ- এটা প্রমাণ করতে মরিয়া একটি মহল। এ সমাজের একটি মহল সবসময় মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দেশের ধারাবাহিক গণতন্ত্র তাদের পছন্দ নয়।

পরশ বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ছিল তখন সীমাহীন দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার, গুম, হত্যা, খুন বেড়ে যায়। তখনই জনগণ সে সরকারকে হটাতে বাধ্য হন। মানবিকতা ন্যায়পরায়ণতা স্বচ্ছতা দিয়ে যুবলীগ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদেরও এসব যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। ২০২৩ সালে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় আনতে পরিশ্রম করতে হবে।

নগর যুবলীগকে নির্দেশনা দিয়ে পরশ বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হতে হবে, গ্রুপিং বন্ধ করতে হবে, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।