সরকারকে সময় দেওয়ার মালিক জনগণ, অন্য কেউ নয়—ড. হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণ গত নির্বাচনে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বর্তমান সরকারকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। কাজেই সরকার ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না এবং দেশ পরিচালনা করবে কি করবে না তা ঠিক করবে দেশের জনগণ, অন্য কেউ নয়। শনিবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের বাকলিয়াস্থ মৌসুমি আবাসিক এলাকায় আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি সরকার পতনের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারা ১৪ বছর ধরে সরকারকে টেনে নামাতে চাচ্ছে। সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে দড়ি ছিঁড়ে তারাই পড়ে গেছে। টেনে নামাতে গিয়ে তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের আন্দোলনের এসব হুমকি ধামকি এখন জনগণের নিকট হাস্যকর ও কৌতুক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো বলে কোন লাভ নেই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইতোপূর্বে ঢাকা বারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করে শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। তারা সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের আগে বুঝতে পেরেছে এ নির্বাচনে তাদের জয়লাভের আশা নেই। সেজন্য প্রথমে তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরপর নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে। নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পেন্ডেলসহ যেসব স্থাপনা ছিলো সেখানে ভাংচুর করেছে। সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলংকজনক ঘটনা আছে সবকিছু বিএনপি করেছে। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচনের কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল। সে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে। এর জন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।

মন্ত্রী বলেন, এই ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কারের ফলে এ এলাকায় জলাবদ্ধতা অনেকাংশে নিরসন হবে। জলজট কমবে। তিনি বলেন, এ শহরে পৌনে এক কোটি লোক বসবাস করে। সবাই যদি ড্রেনে গৃহস্থালির ময়লা পলিথিন ফেলে তাহলে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে সব পরিস্কার করা সম্ভব হবে না। কাজেই শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করার জন্য এর নাগরিকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সকলকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ১.২ বিলিয়ন অর্থ বরাদ্ধ দিয়েছেন। ঢাকা শহরেও এত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। কাজেই সকলে দায়িত্ব পালন করলে শহর বাসযোগ্য ও আধুনিক হবে।

এর পূর্বে আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির পর উদ্বোধনী বক্তৃতায় সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে মৌসুমি আবাসিক এলাকাসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি আবাসিকের জলাবদ্ধা দুর হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরে অনেক প্রকল্প চলমান আছে। আশা করা যায় আগামী বর্ষায় জলাবদ্ধতা কমে আসবে। তবে নগরবাসীকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এসময় স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহিন আক্তার রোজীসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ও সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।