চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে যতগুলো সিটি করপোরেশন আছে তার মধ্যে চসিক সর্ববৃহৎ। সরকারের পক্ষ থেকে অতীতে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কাজে যে থোক বরাদ্দ দেয়া হতো এখন তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ ও নাগরিক সেবা দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ রাজস্ব আদায়ের বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকাল ৩ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে রাজস্ব বিভাগের কর কর্মকর্তা ও উপ-কর কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এতে আরোও বক্তব্য রাখেন সচিব খালেদ মাহামুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীসা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, রাজস্ব কর্মকর্তা সামশুল তাবরীজ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী ও বিভিন্ন সার্কেলের কর কর্মকর্তাগণ।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জুন মাস হচ্ছে রাজস্ব আদায়ের চুড়ান্ত সময়। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ৯৫% শতাংশ রাজস্ব আদায় সুনিশ্চিত করতে হবে। এখানে দায়িত্ব এড়িয়ে চলার কোন অবকাশ নেই এবং তা পরিলক্ষিত হলে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, কর ধার্য্য করতে গিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে অসংগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এই অংসগতিগুলো বিবেচনায় নিয়ে সহনশীল পর্যায়ে কর নির্ধারণ করে করদাতাদের করমূখী করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। চসিক কোন কর এই পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নাই তবে করের আওতা বৃদ্ধি করেছে। যেমন কারো একতলা ভবন ছিল সেই ভবনটি পাঁচ তলা হয়ে গেলে চারতলা করের আওতায় আসবে। এটি কোন অবস্থায়ই কর বৃদ্ধি হতে পারে না। চসিকের ২৬টি খাতের উপর কর আদায়ের বিধিবিধান থাকলেও এখনো অনেক খাত করের আওতার বাহিরে আছে।
মেয়র বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে কর আদায় করলেও চসিক তা কার্যকর করেনি। অন্যদিকে নগরীর বড় বড় টাওয়ার, প্রাইভেট হাসপাতাল, মিল/ফ্যাক্টরী ইত্যাদির সামনে অনেকেই নর্দমার উপর স্লেব নির্মাণ করলেও তা করের আওতায় আনা হয়নি। তিনি অবিলম্বে এই সমস্ত স্লেবের তালিকা তৈরী করে কর আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশদেন।
তিনি রাজস্ব বিভাগের লোকবলের সমস্যা থাকলে তা অন্য বিভাগ থেকে এনে সমন্বয় করার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আহবান জানান। মেয়র নগরবাসির নাগরিক সেবা নিশ্চিত ও নগরীকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরীতে রূপান্তরের জন্য যার যার অবস্থান হতে নগরবাসির প্রতি সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।