‘বহুদিন ধরি শুনি আইদ্দি এনডে এখান পাকা বিরিজ অইবু। ভোট আইলি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা বিরিজ করি দিইবু। আর অপিছারেরা আইলি খালি মাপি লই যায়। এতো বছর অইগেইয়ি কিন্তু বিরিজ আর পাকা নয়-অয়।’ চট্টগ্রামের আনোয়ারা জুঁইদন্ডী ও রায়পুর ইউনিয়নের সাপমারা খালের ভেঙ্গে যাওয়া বাঁশের সাকোর পাশে দাঁড়িয়ে আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন জুইঁদন্ডী গ্রামের বৃদ্ধ ফখরুল আহমদ।’
উপজেলার দুই ইউনিয়নের যাতায়াতের মাধ্যম সাপমারা খালের বাঁশের সাঁকো ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। জরুরী ভিত্তিতে সাঁকোটি মেরামত না করলে দুই পাড়ের মানুষের দূর্ভোগ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, এই সাঁকো দিয়ে দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষছাড়াও জুঁইদন্ডী জেকেএস উচ্চ বিদ্যালয় ও আনোয়ারুল উলূম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত। এ সাঁকো দিয়ে আনোয়ারা সদর ও চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে মানুষ। তবে খালের উপর ৬৫ মিটার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির সুপারিশপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমিন শরীফ জানান, ‘দ্ইু ইউনিয়নের যাতায়াতের মাধ্যম সাপমারা খালের বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়ে মানুষের যাতায়ত। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়ে মানুষ। সাধারণ মানুষের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির নির্দেশে দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হয়েছে।’
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘উপজেলার সাপমারা খালের বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ার পর দ্রুত মেরামতের জন্য বলা হয়েছিলো। ইতিমধ্যে সাঁকোটি চলাচলের উপযোগী হয়েছে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন এলে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।