ছাত্রলীগের অনুসারীদের দ্বারা প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাংবাদিক মোশাররফ শাহকে মারধর ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস)। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চবিসাসের সদস্য এবং কর্মরত সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
চবিসাসের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আজহারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান, সহ-সভাপতি রুমান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু, সদস্য নাজমুল হুদা এবং মো. জিল্লুর রহমান।
চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের কাছে ইজারা দিয়েছে। এর আগেও একাধিক সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় আমরা কোনও সুষ্ঠু বিচার পাইনি। বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য দায়ী।
তিনি আরও বলেন, একজন সাংবাদিকের যেখানে নিরাপত্তা নেই, সেখানে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করা যায় না। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো।
চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আধিপত্য এবং অরাজকতা ক্রমাগতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগেও অনেকগুলো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, আমরা বিচার চেয়েও বিচার পাইনি। যা হয়েছিল তা বলা যায় গুরু পাপে লঘু দণ্ড। মানববন্ধন থেকে দাবি জানাচ্ছি, যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে৷ পাশাপাশি দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় তিনি দোষীদের ছাত্রলীগ থেকেও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে।
এর আগে, রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় মোশাররফ শাহ এর ওপর নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রলীগের অনুসারী বর্বরোচিত হামলা চালায়। এসময় তারা মোশাররফকে প্রথমে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। পরে তাকে জেরা করে শহীদ আব্দুর রব হলের গেটে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকজন তার কপালে, মুখে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি দেন ও হাতে আঘাত করেন। ছিনিয়ে নেন তার মোবাইলফোনও। এছাড়া মারধরের সময় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সাংবাদিককে পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নিয়ে আর কোনও প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।