সাংসদ চুন্নুর মন্তব্যের প্রতিবাদ চবি ছাত্রলীগের একাংশের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগকে নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু কর্তৃক জাতীয় সংসদে প্রদত্ত বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে চবি ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুপুর আড়াইটার দিকে শুরু হয় এ মানববন্ধন।

এতে ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মিজান শাইখ বলেন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের চিফ হুইপ সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু যেই মন্তব্য করেছেন সেটি ভিত্তিহীন।

ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। কোনো অর্থ কেলেংকারীতে জড়িত নয় ছাত্রলীগ। সংসদে দাড়িয়ে আপনি আপনার বক্তব্য যদি প্রত্যাহার না করেন তাহলে চবি ছাত্রলীগ আরও শক্ত অবস্থানে যাবে এবং আমাদের মানববন্ধন চলমান রাখবো।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, সেই ৫২ সাল থেকে শুরু করে ৭১ পর্যন্ত যতগুলো আন্দোলন হয়েছে সবগুলোতে ছাত্রলীগ অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। চুন্নু সাহেব কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া কিভাবে সামান্য পত্রিকার উপর মির্ভর করে এমন মন্তব্য করতে পারেন। ছাত্রলীগ এটি কখনোই মেনে নেবে না। আপনি যদি আপনার মন্তব্য পরিহার না করেন তাহলে আমরা আপনার বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তুলবো।

শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, পার্থ প্রতিম বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি আন্দোলনে ছাত্রলীগ অবদান রেখে এসেছে। কিন্তু মুজিবুল হক চুন্নু যেই মন্তব্য করেছেন সেটির কোনো ভিত্তি নেই। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

চুন্নুকে বলতে চাই আপনি আপনার বক্তব্য মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রত্যাহার করবেন এবং ছাত্রলীগের কাছে ক্ষমা চাইবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম বিক্রির টাকায় ভাগ চায় ছাত্রলীগ মর্মে বক্তব্য প্রদান করেন।

এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর (২০২৪) ভর্তি ফরম বিক্রি করে ২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা আয় হয়েছে। সার্ভিস চার্জসহ মোট আয় ২৩ কোটি টাকা। গত বছর এ আয় ছিল ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ফরম বিক্রির এ টাকা উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষকরা ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। ছাত্রলীগও অতীতের মতো এ টাকা ২ শতাংশ ভাগ চেয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারের দায়িত্ব ৪ বছর পূর্ণ হয়েছে, যে কোনো সময় উপাচার্য পদে পরিবর্তন আসতে পারে। ছাত্রলীগের ধারণা, উপাচার্য পরিবর্তন হলে ফরম বিক্রির টাকার ভাগ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তাই তারাও টানা সংগ্রামে মনোযোগী হয়েছে।#

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।