ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়ের করা মামলায় রাঙামাটির আলোচিত সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জাহেদুল কবির এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন বাবুল। তিনি বলেন, ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা জামিন যোগ্য। এছাড়া তিনি শুধু সাংবাদিক নন, তিনি একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবিও। আগামী ১৭ জুন তার এমসিকিউ পরিক্ষা আছে। এসব কারণে আগামী শুনানী পর্যন্ত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
গত ৭ জুন সন্ধ্যায় রাঙামাটির তবলছড়ি এলাকার বাসা থেকে ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন রাঙামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তার আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন এবং চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পনের আদেশ দেন।
সে অনুযায়ী ফজলে এলাহী আজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আদালত আগামী শুনানী পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে বার্ষিক ৩৬ হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে ডিসি বাংলো পার্কটি ব্যবহারে লিজ নেন। এজন্য ১৩টি শর্তে দুই বছরের জন্য এই অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।
মোহাম্মদ হোসেন রাঙামাটি মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক নারী সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনুর বড় মেয়ে নাজনীন আনোয়ার নিপূণের সহযোগীতা পার্কটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রায় সব শর্ত ভঙ্গ করেন। যা পুলিশের বিশেষ শাখা ও রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পৃথক দুটি তদন্ত প্রতিবেদনে এর প্রমাণ মেলে।
এরই আলোকে সাংবাদিক ফজলে এলাহী সম্পাদিত দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে নাজনীন আনোয়ার নিপূণ ক্ষিপ্ত হয়ে রাঙামাটিতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা খারিজ করে দিলে তিনি সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন।
গত ৭ জুন ফজলে এলাহী গ্রেপ্তার হলে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। এতে সারা দেশের সাংবাদিকরা প্রতিবাদমূখর হয়ে ওঠেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন আখ্যা দিয়ে এটি বাতিলের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।