সাতকানিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, র‌্যাবের হাতে ধরা ধর্ষক

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণকারী আসামি মো. আরিফকে (২৬) আনোয়ারা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

গত ৩০ ডিসেম্বর এক বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আরিফ আনোয়ারা থানার সরকার হাটের মৃত আহম্মদ কবিরের পুত্র।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার। তিনি বলেন, ভিকটিম সাতকানিয়ার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া একজন ছাত্রী। সে প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৭ ডিসেম্বর প্রাইভেট পড়ার জন্য স্কুলে যায়। প্রাইভেট শেষে স্কুল হতে ফেরার পথে আসামি মো. আরিফ ভিকটিমকে একা পেয়ে জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের টয়লেটের পিছনে পরিত্যক্ত স্থানে নিয়ে যায়।

সে সময় শিশু ভিকটিম চিৎকার করলে আরিফ তার মুখ চেপে ধরে এবং বলে চিৎকার করলে একদম মেরে ফেলবো বলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষণকারী আরিফ ভিকটিমকে ধর্ষণপূর্বক বাড়িতে চলে যেতে বলে এবং ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

পরবর্তীতে ভিকটিম বাড়িতে আসলে তার অসুস্থতা দেখে তার মা তাকে হঠাৎ এমন অসুস্থ হওয়ার কথা জনতে চায়। তখন ভিকটিম তার মাকে উপরে উল্লেখিত ধর্ষণের কথা এবং তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জানায়।

তখন ভিকটিমের শরীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তার মা-বাবা তাকে দ্রæত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে ধর্ষিতা শিশু ভিকটিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সার্ভিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে মোঃ আরিফকে আসামি করে গত ২০ ডিসেম্বর সাতকানিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি আরিফকে গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭ আনোয়ারা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামি ধর্ষণকারী মোঃ আরিফকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে উল্লিখিত নাবালিকা শিশু ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা অকপটে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সাতকানিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।