সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রেখে শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে তিন ঘন্টা উৎপাদন বন্ধ রেখে ডিএপি ফার্টিলাইজার লিমিটেডে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট করেছে ডিএপিএফসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। এসময় দাবি আদায় না হলে ফের মাঠে নামার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল আটটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রাঙ্গাদিয়া কারখানায় মূল ফটকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট করেন।

৬ দফা দাবিগুলো হলো— আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের উৎপাদন বোনাস, অডিট আপত্তির নামে টাকা কর্তন, পদোন্নতি, হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন, উচ্চতর গ্রেড ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা।
এসময় বক্তারা বলেন, আমরা নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট করেছি। কর্তৃপক্ষকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আবারও উৎপাদন বন্ধ রেখে শ্রমিক-কর্মচারীরা পরিবার নিয়ে মাঠে নামবে।

এবিষয়ে ডিএপি সার কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আলমগীর জলিল বলেন, “এটা সরকারি প্রতিষ্ঠান, এখানে নিয়োগের বিষয়ে সরকারি বিধিমালা রয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগ হবে। ক্যাজুয়াল শ্রমিকরাও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবে। তবে বাহিরের কেউ এটা নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করলে সে দায় কর্তৃপক্ষ নিবে না”।

তিনি আরও বলেন, “শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘটে উঠে আসা দাবিগুলো আমাদেরকে লিখিতভাবে জানানো হয়নি। তারপরও তাদের এ দাবি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শিল্প আইন ও নীতিমালার মাধ্যমে দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি”।

বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘটে বক্তব্য রাখেন— ডিএপিএফসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফরিদ আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু জাহের, সিবিএ নেতা নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ আরিফ, মানিক কুমার নাথ এবং শাহ জালালসহ প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।