ঘুর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এ আটকে পড়ে অনেক পরীক্ষার্থী আসতে পারেননি। এসব পরীক্ষার্থীদের কথা না ভেবেই রীতিমতো জোর করেই পরীক্ষা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবী বিভাগের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মাস্টার্সে অধ্যয়নরত হওয়ার সুবাদে অনেকেই নিজ গ্রামে আবার অনেকে চাকরির সুবাদে ক্যাম্পাস থেকে দূরে অবস্থান করেন। তারা পরীক্ষার সময় এসে পরীক্ষা দিয়ে আবার ফেরত যান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসতে পারেননি। তাদের অনেকেই স্বপরিবারে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। এসব বিষয় বিভাগের শিক্ষকদের জানানোর পরেও তাতে কর্ণপাত না করে রীতিমতো জোর করে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকরা। এক পর্যায়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের সমর্থনে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীরাই পরীক্ষা বয়কট করেন। এর পরেও বিভাগের শিক্ষকরা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নি। শেষ পর্যন্ত আনুমানিক এক তৃতীয়াংশ সংখ্যক উপস্থিতি নিয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
মাস্টার্সের পরীক্ষার্থী মঈনুল তালুকদার বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের কারণে আমাদের অনেক বন্ধুরাই আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে তাতে এবং ভুক্তভোগীরাসহ আমরা সবাই প্রতিকূল অবস্থার কথা জানিয়ে বারে বারে শিক্ষকদের অনুরোধ করেছিলাম পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য। সভাপতি স্যারকে ফোন করেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুতেই আমরা শিক্ষকদের মন গলাতে পারি নি। তাঁরা জোর করে অনেককে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০-২৫ জন নিয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে এর একটি সুন্দর সমাধান আশা করতেছি। অন্যথায় যদি প্রয়োজন পড়ে আমরা উপাচার্যের কাছে এ নিয়ে দাবি জানাব।
এদিকে কোনো পরীক্ষার্থীই আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে পড়ার খবর জানতেন না বলে জানিয়েছেন আরবী বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ। তিনি বলেন, কোনো শিক্ষার্থীই আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে পড়ার ব্যাপারে কেউ আমাকে কোনো তথ্য দেয় নি। ওরা পরীক্ষা না দেয়ার জন্যই ঘুর্ণিঝপড়ের অজুহাত দেখিয়েছিল। বিভাগের সকল শিক্ষকদের সাথে মিটিং করেই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে আমরা বলেছিলাম যে কারো যদি আসতে দেরি হয় তাহলে সে বিষয়টা আমরা বিবেচনা করব।