সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপো যেন মৃত্যুপুরী, নিহত বেড়ে ৪২

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের পর ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ছয়জন কর্মী রয়েছেন। সীতাকুণ্ড ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এ ছাড়া আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। তাদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও আছেন।

এদিকে এই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। রোববার (৫ জুন) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস সূত্র।

এই ভয়াবহ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সেইসঙ্গে তিনি আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, পার্কভিউ হসপিটালসহ আশপাশের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে অনেককে ওয়ার্ড ছাড়াও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দগ্ধ ৩ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, দগ্ধ ৩ জনকে আজ সকালে আনা হয়েছে। তাদের শরীরের ১৪-১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ৩ জনেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এ কারণে জরুরিভিত্তিতে তাদের আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। এখন তাদের আইসিইউতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’

তারা হলেন শিল্প পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসান, স্থানীয় বাসিন্দা খালেদুর রহমান এবং ডিপোর সিকিউরিটি ইনচার্জ মাকফারুল ইসলাম।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৪ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।

আরও পড়ুন:
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদানের নির্দেশ

সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী

সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন, জরুরী অবস্থা ঘোষণা

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।