সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে আগুন—কেটেছে শনির দশা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বড়কুমিরায় ন্যামসন কন্টেইনার ডিপো সংলগ্ন ইউনিটেক্সের তুলার গোডাউনের লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে যৌথ বাহিনী। দিনভর ফায়ার সার্ভিসের ফাইটারদের বিরামহীন প্রচেষ্টার সাথে শনিবার রাতে যুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর টিম, সাথে বিজিবিও।
ফায়ার সার্ভিসের ৮টি টিমের সাথে সেনা ও নৌবাহিনীর ৪টি করে ৮টি ইউনিট, বিমান বাহিনীর ২টি ইউনিট এবং বিজিবির ৪টি ইউনিট এক যোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
কাজ করেছে তুরস্কে ভুমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকার্যে অংশ নেওয়া সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী টিম USAR (Unit Search and Rescue Team)।

রোববার (১২ মার্চ) সকাল ৯টায় আগুন নিভলেও মাঝে মধ্যে ধোঁয়া ওড়ার বিষয়টি জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, শনিবার সকালে ইনিটেক্স গ্রুপের তুলার লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিজিবির মোট ২২টি টিমের যৌথ প্রচেষ্টায় নেভানো সম্ভব হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে ধোয়া ওড়তে দেখা যাচ্ছে।

গুদামে ঝালাইয়ের কাজ চলাকালে আগুনের ফুলকি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার বিষয়টিও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে শনিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ফাইটাররা কাজ করেছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় জেলা প্রশাসক স্যার সেনা-বিমান ও নৌবাহিনীর সহযোগিতা চান। সন্ধ্যার পর থেকে একে একে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যুক্ত হয় সব বাহিনী।

মধ্যরাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম তদারকি করতে দেখা গেছে।

ইউনিটেক্সের ওই গুদামে ২ হাজার ৭০০ টন তুলা মজুদ ছিল। তুলা দাহ্যপন্য হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে। পাশে কনটেইনার ডিপো থাকায় শঙ্কাটা ছিল অন্য মাত্রায়।
কারণ গত ৪ জুন সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুনের ভয়াবহতা দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধাক্কা লেগেছে। বিএম ডিপোর আগুনে অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারান।
এছাড়া গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জন মারা যান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।