সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে সহকর্মীর ছুটছিল নিরাপদ স্থানে। কিন্তু আগুনের ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করছিলেন ওয়ালিউর রহমান। প্রায় ৪০ মিনিট তিনি তার স্মার্টফোনের মাধ্যমে আগুনের ঘটনা লাইভ করেন তিনি। এরপরই ঘটে ভয়াবহ বিষ্ফোরণ।
সেই বিষ্ফোরণের পর লাইভ বন্ধের সাথে নিভে যায় ওয়ালীউরের জীবনও। অন্য ৩০ জনের সাথে তাকে নিয়ে আসা হয় নগরীর বেসরকারী হাসপাতাল পার্কভিউতে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওয়ালিউরের লাইভে দেখা যায়, কনটেইনারে আগুন জ্বলছে এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। লাইভে থাকা অবস্থায় দেখা যায় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এরপরই স্ক্রিন অন্ধকার হয়ে যায়। লাইভে থাকা অলিউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে উড়ে গিয়ে দূরে ছিটকে পড়েন। তখনো লাইভটি চলছিল, সেখানে মানুষকে বলতে শোনা যায় ‘আল্লাহ, আল্লাহ বাঁচাও’। এরপর দীর্ঘ সময় তার সন্ধান মেলেনি।
ওয়ালিউরের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে। তিনি ওই এলাকার ফটিগুলি গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। পরিবারের ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি বড়।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান ওয়ালিউর প্রায় ৪ মাস পূর্বে একই গ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদার মামুন মিয়ার মাধ্যমে সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজে যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রশাসন ৪২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।