চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও এক ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে সেখানে আগুন নিভাতে গিয়ে প্রাণ গেছে মোট ১০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীর।
শনিবার (১২ জুন) দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাউসুল আজম (৩০) নামে এই ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হয়।
নিহত গাউসুল আজমের বাড়ি যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলায়। তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ পরিচালক আনিসুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন প্রথম বিস্ফোরণে গাউসুল আজম দগ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।
সীতাকুণ্ড ট্রাজেডিতে আহত আরও ১৩ ফায়ার সার্ভিস কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আর এই ঘটনায় এখনও নিখোঁজ আছেন তিন ফায়ার সার্ভিস কর্মী। জেলা পুলিশের এক সদস্যের পা উড়ে যায়, আহত আছেন আরও প্রায় ১০ পুলিশ সদস্য।
৪৭ জন নিহতের মধ্যে ২৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে নিহত ২৭ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকী ১৯ জনের লাশ শনাক্তে তাদের স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। চমেক হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, পার্কভিউ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অগ্নিদগ্ধ শতাধিক শ্রমিক, কর্মকর্তা।
শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ টাকার চেক দেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের ৫০ হাজার ও আহতদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।