চট্টগ্রামের আনোয়ারায় স্থানীয়দের সীমানা দখল নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কেইপিজেডের। বুধবার (৭ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ বন্দর খলিফাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ ও কারখানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়রা জানান, বৈরাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. হাশিম চৌধুরী ও মো. লিয়াকত আলীর খরিদকৃত ১ একর ৬০ শতক জমিতে দেওয়া সীমানা নির্ধারণের পিলার, কাঁটা তারের বেড়া এবং টাঙানো সাইনবোর্ড ভেঙে পেলেন। এ নিয়ে সকাল থেকে স্থানীয় ও কেইপিজেডের মধ্যে কয়েক দফায় দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। পরে থানা পুলিশ ও কারখানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ বেসরকারি ইপিজেড আইনে দেশের প্রথম ব্যক্তি মালিকানায় আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ে ২ হাজার ৪৯২ একর জমির উপর কোরিয়ান কোম্পানি ইয়াংওয়ান কর্পোরেশন কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) স্থাপন করে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু দেয়াঙ পাহাড় ও আশপাশ এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের শতবছরের পুরোনো কবরস্থান ও ব্যক্তি মালিকানা জমি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষের প্রায় সময় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।
জমির মালিক মো. হাশিম চৌধুরী জানিয়েছে, তাদের খরিদকৃত বৈরাগ মৌজার নামজারীকৃত ১ একর ৬০ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখে বিভিন্ন গাছপালাও রোপন করে। এই জমি নিয়ে আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির তদন্ত প্রতিবেদনও তাদের পক্ষে রয়েছে। কিন্তু বুধবার কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে তাদের দখলে থাকা জমির সীমানা পিলার, কাঁটা তারের বেড়া, টাঙানো সাইনবোর্ড ভেঙে পেলেন এবং জোরপূবর্ক দখলে রাখার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেইপিজেডের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক (এজিএম) মুশফিকুর রহমান বলেন, আমি অসুস্থ, ছুটিতে রয়েছি। এরপর বিকেলের দিকে আবারও কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।