সীমান্তে থেমেছে গোলাগুলি, মাঠে ফিরছেন চাষীরা

বিগত বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক গোলাগুলিতে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা। এতে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হলে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয় অনেক পরিবার। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে গোলাগুলি কমতে থাকায় স্বস্তি ফিরেছে সীমান্তে, মাঠে ফিরছেন চাষীরা। এদিকে পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে বিদ্যালয়গুলোও খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তুমব্রু এলাকার কৃষক আবদুল জব্বার জানিয়েছেন, তার দশখানিতে ধান ক্ষেত রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দে ভয়ে কাজ না করে বাড়ি ফিরতে হতো। তবে কয়েকদিন ধরে গোলাগুলি না থাকায় ক্ষেতে কাজ করতে পারছেন।

বাইশফাড়ি সীমান্তের বাসিন্দা মো. এরশাদ বলেন, দুই-তিনদিন ধরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে ছিলাম। শুক্রবার ভোর থেকে কোনো গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, টানা কয়েক সপ্তাহ ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের মংডুতে থেমে থেমে গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণের আওয়াজ শোনা গেলেও বৃহস্পতিবার থেকে সীমান্তে কোনো অস্থিরতা বা গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে সীমান্ত দিয়ে দুষ্কৃতিকারী ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। তারা জানায়, প্রতিদিনই অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিহত করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বৃহস্পতিবার থেকে তুমব্রু সীমান্তে অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।