পটিয়ায় ইফতার মাহফিলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন গুহকে দেখতে গেলেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ মাহমুদ স্বপন এমপি।
সোমবার (৩০ মে) বিকেলে প্রবীন এই নেতার বাড়িতে তাকে দেখতে জান হুইপ স্বপন। এসময় পটিয়ার সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানও সঙ্গে ছিলেন। নেতৃবৃন্দ বাসায় উপস্থিত হলে বাসার সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
নেতৃবৃন্দ জিতেন কান্তি গুহকে দেখে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের কেউই রেহাই পাবে না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন এবং প্রশাসনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হুইপ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগকে যাবতীয় আইনগত সহায়তা এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এসময় হুইপ শামসুল হক চৌধুরী জিতেনের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের নেতা শাহজাদা মহিউদ্দিন, আব্দুল কাদের সুজন, বিজন চক্রবর্তী সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দও সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল শুক্রবার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের ব্যানারে গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ও স্বতন্ত্র নির্বাচিত চেয়ারম্যান বি এম জসিমের নাম না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহের ওপর বরর্বোরচিত হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে গাছের সাথে বেঁধে ছবি তোলে চেয়ারম্যানের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে দিয়ে উল্লাস করেন।
সাথে সাথে ছবিটি ভাইরাল হয় এবং সারা দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনার দিন রাতেই তার ভাই তাপস কান্তি গুহ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: পটিয়ার ঘটনা ন্যাক্কারজনক, দলে দূর্বৃত্তদের জায়গা নেই– তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ নেতাকে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের মূলহোতা ইন্দ্রজিৎ এখনও অধরা
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।