সেনাবাহিনীর ৯ ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করলেন সেনাপ্রধান

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড. এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন, ২৪ বীর, ২৭ বীর, ২৮ বীর, ৩০ বীর, ৩১ বীর, ৩২ বীর এবং ৩৩ বীর কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেনাপ্রধান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার, চট্টগ্রাম সেনানিবাসে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

চট্টগ্রাম সেনানিবাসস্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের এমআর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় ৩২ বীর এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ আহসান হাবিব রাজীবের নেতৃত্বে একটি সম্মিলিত চৌকষ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম প্রদান করে।

গৌরবোজ্জল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ইউনিটসমূহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা দেশ মাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকান্ডে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন, ২৪ বীর, ২৭ বীর, ২৮ বীর, ৩০ বীর, ৩১ বীর, ৩২ বীর এবং ৩৩ বীর আজকের কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং প্রধান অতিথির নিকট হতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।

সেনাবাহিনীর ৯ ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করলেন সেনাপ্রধান 1

সেনাবাহিনী প্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্ত ইউনিটসমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই বিশেষ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেই সাথে স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লক্ষ বীর শহিদদের।
তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে প্রিয় বাংলাদেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন হচ্ছে। সেনাবাহিনীর সামরিক ঐতিহ্য অনুযায়ী যে কোন ইউনিটের জন্য রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। তিনি সকলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানান। পরিশেষে সেনাবাহিনী প্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রদান উপলক্ষ্যে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়াসহ সেনা এবং নৌ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।