বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে দ্বীপের পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি ও জীবিকা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, হোটেল-রিসোর্ট, শুঁটকি বিক্রেতা, ডাব বিক্রেতাসহ এক-তৃতীয়াংশ মানুষের আয় অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
দ্বীপে বর্তমানে দিনে সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক নেওয়ার নিয়ম থাকলেও, রাত্রি যাপন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা মূল পর্যটন মৌসুমে আয় করতে পারছেন না। আগে যেখানে ৫–৬ মাস পর্যটক থাকত, সেখানে এখন দুই হাজার দিনে আসলেও বিকল্প গন্তব্যে চলে গেলে সেন্টমার্টিনের অর্থনীতি হুমকিতে পড়বে।
হোটেল-মারমেইড রিসোর্টের মো. তৈয়ব উল্লাহ বলেন, নভেম্বর-ডিসেম্বর হচ্ছে পিক টাইম। এই সময়ে রাত্রিযাপন বন্ধ করলে পর্যটকরা অন্য জায়গায় চলে যাবে, দ্বীপের ব্যবসা ভেঙে পড়বে। হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিবলী আজম কোরেশি বলেন, এক বছর প্রস্তুতি সত্ত্বেও রাত্রিযাপন বন্ধে কর্মসংস্থান প্রায় শূন্যে নেমে আসবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ফেরি চালু ও পর্যটকদের রাত্রিযাপনের অনুমতি পুনর্বহাল করলে দ্বীপের অর্থনীতি পুনরায় স্বাভাবিক হতে পারে।
টেকনাফ ইউএনও শেখ এহেসান উদ্দিন জানিয়েছেন, রাত্রিযাপন সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো অফিসিয়ালভাবে আসেনি এবং আগের নিয়মই বর্তমানে বহাল আছে।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের জন্য পর্যটকরা একমাত্র জীবিকা উৎস। রাত্রি যাপন বন্ধ থাকলে শুধু ব্যবসা নয়, স্থানীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও কর্মসংস্থানও মারাত্মক প্রভাবিত হবে।



মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।