সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামে ঈদুল আযহা উদযাপন
আনোয়ারাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও সাতকানিয়ার শতাধিক গ্রামে আজ বুধবার (২৮ জুন) পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে হজ্জ্বের পরের দিন ঈদুল আযহা পালন করে থাকেন। দরবার শরীফের অনুসারীরা দুইশত বছর আগ থেকে এ নিয়মে ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন।
ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরীফের মুখপাত্র মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে বিগত দুই শতাধিক বছর ধরে ইয়াউমুল আরাফাহ বা পবিত্র হজ্জ্বের পরের দিনই আমরা ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান এবং হজ্জ্ব পালনের খবর সচিত্র দেখে বুধবার ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে।
দরবারের সূত্র জানায়, সকাল ৯টায় সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের খানকাহ মাঠে ঈদুল আজহার প্রধান জামায়াতের সময় ঠিক করা আছে। ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান নামাজে ইমামতি করবেন।
এর বাইরে আনোয়ারার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসখামা, কাটাখালী, রায়পুর, গুজরা, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুন্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, ফেনী, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ঢাকা, মুহাম্মদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মনোহরদী, মঠখোলা, বেলাব, আব্দুল্লাহনগর, কাপাসিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, মিরশরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ পাশের জেলা মিলিয়ে শতাধিক গ্রামের বহুসংখ্যক অনুসারীরা ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন।
এদিকে, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরাও আজ বুধবার ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।