স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, স্বামী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগে এ নারীর সাবেক স্বামী মো. ইদ্রিছকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমেদ। গ্রেপ্তারকৃত ইদ্রিছ আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের খোশাল তালুকদার বাড়ির মৃত মো. ফারুকের পুত্র।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের দেয়াঙ বাজার এলাকার পাহাড়ে এ সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে মো. ইদ্রিছ (২২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ভুক্তভোগী নারী জানান, দুই বছর আগে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের খোশাল তালুকদার বাড়ির মো. ইদ্রিছের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় বাঁশখালীর ২০ বছরের এ নারী। এক বছর সংসারের পর তাদের বিচ্ছেদ ঘটলে চট্টগ্রাম কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় চাকরী নেন ভুক্তভোগী। যাতায়াতের সুবিধার জন্য একই এলাকার মোহাম্মদপুর তার নানার বাড়িতে থাকতেন তিনি। গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে দেখা হয় সাবেক স্বামী ইদ্রিছের সঙ্গে। এ সময় তার পথরোধ করে কৌশলে সিএনজি অটোরিকশায় ঘুরতে নিয়ে যায় এবং রাত সাড়ে ১১টায় দেয়াঙ বাজার এলাকায় পাহাড়ে নিয়ে যায় তাকে।

তিনি আরও বলেন, এ সময় ইদ্রিছের সঙ্গে ছিলো মো. মামুন (৩৩) নামে আর ৪ জন যুবক। তারা গলায় ছুরি ধরে জোরপূবর্ক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারের পশ্চিম সড়কে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় জড়িতরা। এ সময় নগদ টাকা ও মোবাইলনিয়ে যায় তারা।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বজনদের মৌখিক অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযানে নেমে পড়ে পুলিশ। দুপুরে কর্ণফুলী শিকলবাহা এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

তিনি আরও বলেন, ‘তারা একের অপরকে স্বামী-স্ত্রী দাবী করলেও কোনো প্রমাণপত্র বা কাগজ দেখাতে পারছে না। এছাড়াও তালাকেরও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারচ্ছেন না কেউ। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।’

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।