হেমন্তের ভোরে শিশির সিক্ত দূর্বাঘাস ও পথঘাট। সূর্যের আলোতে শিশিরকণা মুক্তার মতো জ্বল জ্বল করে জানান দিচ্ছে-‘এসেছে শীত’! কুয়াশা ভেদ করে পূর্ব দিগন্তে সূর্যোদয়, ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। তাতে শিশির বিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা। এ শুধুই শীতের আমেজ নয়, সত্যিকারের শীত। ঠিক এভাবেই পার্বত্যঞ্চল রাঙামাটির লংগদুবাসীকে জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আর এমন সময়ে লেপ, কম্বল বের করতে শুরু করেছেন বাড়ির গৃহিণীরা।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে দেখা মিলছে সাদা কুয়াশার ভেলা। এই কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের বার্তা। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সোনারাঙা রোদ। উত্তর থেকে আসছে শিরশিরে বাতাস। ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব। গাছ থেকে ঝরছে পাতা, ঝরছে শিউলি ফুল। শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাচ্ছেন অনেকেই। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি।
শুধু যে সকালে কুয়াশার দেখা মিলছে তা নয়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই গায়ে লাগছে শীতের বাতাস। দূর আকাশে কুয়াশার দল এক হয়ে মিশে গেছে মেঘের সাথে। কিছু পথ পর পর পাহাড়ের গায়ে লেপ্টে যাচ্ছে শিশিরকণা। মাঠজুড়ে আছে হরেক রকমের শীতের ফসল। শীতের গন্ধ যেন মাতিয়ে তুলেছে চারদিক।
এদিকে প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই রঙ বে-রঙের অতিথি পাখির করতালে উপজেলার কাট্টলী বিলসহ বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশায়গুলোতে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এ বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে। মাইনী এলাকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার কুয়াশা বোধ হয় একটু আগেই চলে এসেছে। ভোরে শিশির জমছে ঘাসে। ভোরে ও সন্ধ্যায় হালকা শীত শীত অনূভুতি হচ্ছে।
রকিব মাহমুদ নামে আরেকজন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ঠাণ্ডা নামছে। তবে রাত ও সকালে ঠাণ্ডা অনূভুত হলেও দিনের বেলায় গরম পড়ছে। পরিবেশ ও প্রকৃতি এনে দেয় শীতের আগমনী বার্তায় এক অন্যরকম অনুভূতি।
লংগদু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতি শীতের আগমন জানান দিচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা কমেছে। মূলত পৌষ-মাঘ এই দুই মাস শীতকাল ধরা হলেও আশ্বিন-কার্তিকের দিকেই শীত আসতে শুরু করে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।