আর্থিক অসচ্ছলতায় দিশেহারা হয়ে পড়েন কিবরিয়া জাফর। নজর পড়ে প্রতিবেশী গৃহবধূর স্বর্ণের ওপর। গত শনিবার গভীর রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিবেশী শামীমা আক্তারের দরজায় কড়া নাড়েন জাফর। দরজা খুলতেই ঝাপটিয়ে মুখ চেপে ধারার চেষ্টা করেন। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গৃহবধূকে কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান কিবরিয়া। আর এমন চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের ৬ ঘন্টার কম সময়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ইপিজেড থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর জোন) শাকিলা সুলতানা। এসময় ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিমসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
শাকিলা সুলতানা বলেন, গত রোববার চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার নিউমুরিংয়ের একটি ভবনে শামীমা নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের প্রতিবেশী কিবরিয়া জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটককৃত কিবরিয়া চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর পশ্চিম কদুরখিল এলাকার বাসিন্দা।
তিনি আরও বলেন, কিবরিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার রাত ২টার পর নিহত শামীমার দরজায় নক করেন কিবরিয়া। প্রতিবেশী হওয়ায় শামীমা দরজা খুললে কিবরিয়া রুমে প্রবেশ করে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তিনটি স্বর্ণের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি মোবাইল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এসব স্বর্ণালংকার প্রায় ১২ আনা ।
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের নিউমুরিং তক্তার পুল আবুল ফয়েজের বিল্ডিংয়ের ৫ম তলার ভাড়া বাসা থেকে শামীমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শামীমা পটুয়াখালীর বাউফল থানার জামাল উদ্দিনের স্ত্রী। জামাল উদ্দিন রাঙামাটি বিজিবিতে চাকরি করেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আজম বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মো. কিবরিয়া জাফরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।