সংস্কার শেষে প্রায় দুই বছর পর উন্মুক্ত হলো আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম সূতিকাগার চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দান। ১৯৬৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠের জনসভায় বাঙালির মুক্তি সনদ ‘৬ দফা’ বিষয়ে ভাষণ দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই থেকে দেশের জন্মের ইতিহাসের অংশ চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দান। গত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কার হওয়া লালদীঘি ময়দান অন্য ২৮টি প্রকল্পের সাথে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল লালদীঘি ময়দান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সরকারি মুসলিম হাইস্কুলের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার, স্থানীয় কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজসহ স্কুল কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল সাংবাদিকদের বলেন, করোনার সময় সবকিছু বন্ধ রাখার সুবাধে ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানের সংস্কার করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেছেন। এখন মুসলিম হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার শিশুদের খেলাধুলার জন্য এবং বয়স্কদের হাঁটাচলার জন্য মাঠটি উন্মুক্ত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ময়াদানটির রক্ষণাবেক্ষণ মুসলিম হাইস্কুল করবে। এক্ষেত্রে চসিক তাদের সহায়তা করবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। কেউ এ মাঠে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে চাইলে এ কমিটির অনুমতি নিবেন। মাঠে জনসভা, কারপার্কিং কিংবা কোনো মেলা করার সুযোগ থাকবে না।
১ হাজার ২৫০ বর্গফুট দেওয়ালে তুলে ধরা হয়েছে ১৮টি টেরাকোটার ম্যুরালে মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, গণঅভ্যুত্থান, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির গৌরবগাঁথা। রাতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া মাঠে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে দুটি ২০ ফুট প্রস্থের গেট ও একটি ভিআইপি গেট।