স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রথম স্তম্ভ হলো স্মার্ট নাগরিক তৈরি—জেলা প্রশাসক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রথম স্তম্ভ হলো স্মার্ট নাগরিক তৈরি। আর স্মার্ট সিটিজেন তৈরীতে স্কাউটাররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন সচেতন ও আলোকিত নাগরিক গঠনে স্কাউটকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

বুধবার (১৪ জুন) নগরের পিটিআই মিলনায়তনে ‘চট্রগ্রাম জেলার সকল স্কুলে শতভাগ স্কাউটিং কার্যক্রম নিশ্চিতকরণ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে স্কাউটিং’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও পাটের ব্যাগে উদ্বুদ্ধকরণ, গ্রিন সিটি নিশ্চিতকরণে ২০২৩ সালে ২৩ লাখ বৃক্ষরোপণ, স্মার্ট টুরিজমে শহর থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত স্মার্ট টুরিস্ট বাস চালুকরণ, স্মার্ট স্পোর্টস বাস্তবায়নে ১৯১টি ইউনিয়নে ১৯১টি খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ, স্মার্ট কৃষিতে কৃষিশ্রমিক ও সরঞ্জাম সরবরাহ প্লাটফর্মসহ প্রভৃতি উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরের স্কুলগুলোর জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে চালু হচ্ছে স্মার্ট স্কুল বাস। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রসরমান প্রযুক্তিসম্বলিত এসব বাসে থাকবে সব ধরণের আধুনিক সুযোগ সুবিধা যেমন ওয়াই ফাই, আইপি ক্যামেরা প্রভৃতি। শিক্ষার্থীদের স্কুলযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এসব বাসে ওঠা, নামা এবং অবস্থান মনিটরিং এর পাশাপাশি স্কুলে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকদের কাছে চলে যাবে সয়ংক্রীয় মেসেজ। এর ফলে অভিভাবকগণ নিশ্চিন্তে থাকবেন। এ স্মার্ট বাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যুগান্তকারী উপকার হবে বলে উপস্থিত শিক্ষকমণ্ডলী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

উপস্থিত শিক্ষকদেরকে এ ধরণের নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রকে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় রুপান্তরে উদ্যমী হওয়ারও আহ্বান করেন। তিনি প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের স্পোর্টস ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, রোবটিক্স ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব স্থাপন করে অন্তত দুটি করে ক্লাবের সদস্য করার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ সময় সকল শিক্ষক শতভাগ স্কাউটিং বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং স্কাউটিং কার্যক্রমকে সে অনুযায়ী একীভূত করে সকল স্কাউটারদের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রাম নগরের ১৪৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, স্কাউট শিক্ষক, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা স্কাউট কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিটের স্কাউটস নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।