স্যামসাংয়ের ম্যারপ্যাচের শিকার আরও গ্রাহক

0

এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকার স্যামসাং নোট-টুয়েন্টি আল্ট্রা ক্রয় করেছিলেন প্রকৌশলী আহমান উল্ল্যাহ। ৩ মাসের মাথা নষ্ট হয় ব্যাক লাইট। সেটি ফ্রিতে ঠিক করে দিয়েছিল কোম্পানী। এর পর ওয়ারেন্টি শেষ হওয়ার পরই শুরু হয় ঝামেলা।

সেট ওভার হিটেড হয়ে যায়। অতিরিক্ত গরমের কারণে তিনি ব্যবহার করতে পারছিলেন না। আবারও দ্বারস্থ হলেন স্যামসাংয়ের কাস্টমার সেন্টারে। সার্ভিসিং করার পর ওভার হিট সমস্যার সমাধান হলো।

এবার ওয়ারেন্টি পিরিয়ড শেষ হওয়া মাত্রই স্কীনজুড়ে এলো সবুজ দাগ। একটি দাগ নিয়ে তিনি গেলেন কাস্টসেন্টারে। তারা দিলো সেট আপডেট, সাথে সাথেই যুক্ত হলো আরও একটি সবুজ দাগ। এভাবে তিনি প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যেই স্যামসাং নোট-টুয়েন্টি আল্ট্রা ব্যবহার করছে চারটি সবুজ দাগের ক্ষত নিয়ে।

প্রকৌশলী আহমান উল্ল্যাহ চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, এত টাকার সেট কিনে এমন ভোগান্তি দুঃখজনক। অথচ স্যামসাংয়ের এস-টুয়েন্টি মডেলের সেটে এমন সমস্যা হলে তা ফ্রিতে রিপ্লেস করে দিচ্ছে কোম্পানি। কিন্তু স্যামসাং নোট-টুয়েন্টি আল্ট্রাতে সেই সুবিধা দিচ্ছে না। এত দামী সেট ব্যবহার করে এক প্রকার প্রতারিত হচ্ছি।

স্যামসাংয়ের ম্যারপ্যাচের শিকার আরও গ্রাহক 1
স্যামসাং নোট২০ আলট্রা মোবাইলে দৃশ্যমান গ্রীন লাইন

তিনি আরও বলেন, যদি আমার সেট কোনো আঘাত পেতো কিংবা হাত থেকে পড়ে নষ্ট হতো তবে মনকে বুঝ দিতে পারতাম। কোম্পানির নানা রকম ফিচার দেখেই স্যামসাং নোট টুয়েন্টি আল্ট্রা কিনেছিলাম। এমন বাজে সার্ভিসে আমি হতাশ।

স্যামসাংয়ের ম্যারপ্যাচের শিকার আরও গ্রাহক 2

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেমর রাতে চট্টগ্রাম খবরে ‘স্যামসাংয়ের দেড় লাখ টাকার সেটের সার্ভিস নিয়ে গ্রাহকদের অসন্তুষ্টি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে ঢাকার মানিকগঞ্জ থেকে যোগাযোগ করেন স্যামসাংয়ের হয়রানির শিকার এই প্রকৌশলী। তার মতো আরও প্রতারিত হওয়া গ্রাহক রয়েছেন। তাদের ঘটনাও আমরা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরবো।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm