সৎ ছেলের লিঙ্গ কেটে হত্যা চেষ্টা, সাড়ে ৩ বছর পর শুরু হচ্ছে বিচার

ভ্যান চালক উসমান গনি প্রথম সংসারের চার বছরের শিশু সন্তান আর দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাতুল পিয়ারাকে নিয়ে বসবাস করতেন নগরীর খুলশী থানার টাইগারপাসের বটগাছতলা এলাকায়। সব ঠিকঠাক চললেও মাঝে মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে প্রথম স্ত্রী নিয়ে কথা কাটাকাটি হতো।

কিন্তু স্বামী স্ত্রীর কথাকাটির জেরে আগের সংসারে জন্ম নেওয়া পুত্র সন্তানের লিঙ্গ কেটে হত্যার চেষ্টা চালায় জান্নাতুল পেয়ারা।

শিশুটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেয়ারা ও তার তিন ভাই আব্দুল হাকিম, আব্দুস সাত্তার ও আবু হানিফ মিলে গলা-মুখ চেপে ধরে লিঙ্গ কাটার উদ্যোগ নেয়। শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে।

খবর পেয়ে তার পিতা উসমান গনি বাসায় এসে দেখেন- ছেলের পুরুষাঙ্গের গোড়ায় কাটা। রক্ত ঝরছে অনরগল। শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।

শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করা হয় ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সকাল ১০টায়। খুলশী থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ভিকটিম শিশুর পিতার ৪ অক্টোবর ২০১৮ চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ চার্জশিটও দেয়।

মামলাটি বিচারে আসার আগেই আসামিরা মামলা থেকে অব্যাহতি পায় সেজন্য অভিযোগ গঠন পর্যায়ে বারবার টাইম পিটিশন দিয়ে আসছিল আসামিপক্ষ। অবশেষে মঙ্গলবার (১৭ মে) মামলাটির অভিযোগ গঠন ও বিচারকাজ শুরু করার জন্য আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, সাড়ে ৩বছরেও চাঞ্চল্যকর এবং স্পর্শকাতর এই মামলাটির বিচার শুরু না হওয়া দুঃখজনক। তাই আদালতের কাছে চার্জ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করার আবেদন জানিয়েছি। আসামিপক্ষ আজও সময়ের আবেদন দিয়েছেন, পাশাপাশি ডিসচার্জ পিটিশনও দিয়েছেন। মাননীয় আদালত আগামী ২০ জুন মামলার চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।