সড়কে ছোট-বড় খানাখন্দ, যাতায়াতে চরম ভোগান্তি

পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেশিরভাগ রাস্তার অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রংগীখালের পূর্বকুলের আশপাশের গ্রামের মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাগুলোর ইট উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তা সংস্করণে গত ২০১৬-২১ সালে অর্থবছরে অনেকবার বাজেট হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই কাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, গ্রামে যাতায়াতের প্রধান রাস্তাটি অল্প বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হয়ে যায়, যা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এবাদুল্লাহ পাড়ার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন রাস্তাটি না হওয়ার কারণে আমাদের এলাকার মানুষের কষ্টের শেষ নেই।

সড়কে ছোট-বড় খানাখন্দ, যাতায়াতে চরম ভোগান্তি 1

জনপ্রতিনিধিরা সবাই নির্বাচনের আগে স্বপ্ন দেখায় , নির্বাচনের পর আর রাস্তার কাজ করার কথা ভুলে যায়। রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল চলার অনুপযোগী। ট্রাক চলাচলের কারণে বালি ও ইট উঠে জায়গায় জায়গায় গর্ত হয়ে আছে। তারমধ্যে একটু বৃষ্টি আসলে সব গর্তে পানি জমে যায়।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক সাইদি বলেন, রাস্তার উন্নয়নে লাখ লাখ টাকার বাজেট হয়, কিন্তু রাস্তা ঠিক হয় না। আজ রাস্তা ঠিক করলে, কালকেই তা আবার নষ্ট হয়ে যায়। ভাঙা রাস্তার কারণে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানো খুব কষ্ট হয়। একটু ভারী মাল থাকলে গাড়ি উল্টে যায়।

এ বিষয়ে ৫নং মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ চৌধুরী বলেন, ‘ভোগান্তির কথাটি আমরা জানি। এই মুহূর্তে কোনো বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাটি কবে নাগাদ ঠিক করা হবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের মাথায় আছে এবারের নতুন বাজেটে কিছু একটা করার চেষ্টা করব।’

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।